মমতার মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঘিরে শান্তিরক্ষী পাঠানো নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা রাজনৈতিকভাবে তার জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নয় বলে মনে করছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জীর মন্তব্যকে আমরা তার ব্যক্তিগত ধাঁচের মন্তব্য হিসেবেই দেখতে চাই। কেন তিনি এমন মন্তব্য করলেন, তা বুঝতে পারছি না। আমি কলকাতায় দীর্ঘদিন ছিলাম এবং তার সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু এই বক্তব্য তার রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য সহায়ক হবে না। এটি আমার ব্যক্তিগত মত।
ভারতের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক কেমন হবে—এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ৫ তারিখের আগের এবং পরের পরিস্থিতি এক নয়। আমাদের সম্পর্কের কিছু সমস্যা আছে, যা আমরা স্বীকার করি। সমস্যাগুলো সমাধানে আমরা উদ্যোগী। ভারতের সঙ্গে আমরা পরস্পরের স্বার্থ বজায় রেখে একটি ভালো সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন, মোদির হস্তক্ষেপ চান মমতা
তিনি আরও বলেন, পাঁচ তারিখের আগের সরকারের সঙ্গে কিছু পার্থক্য আছে, যা মানিয়ে নিতে সময় লাগতে পারে। তবে বাস্তবতা মেনে নিয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার আগে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর প্রচেষ্টা রয়েছে। আমরা কূটনীতিকদের জানিয়ে দিয়েছি যে, এ প্রচেষ্টা সফল হতে দিচ্ছি না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রধানত ভারতের মিডিয়া এবং কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে পেরেছি এবং কূটনীতিকরা এ বিষয়ে তাদের দেশে রিপোর্ট করবেন,বলেন তিনি। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও তার জামিন নামঞ্জুরের বিষয়েও কূটনীতিকদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও জানান, সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, এই সরকার কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সমান দৃষ্টিতে বিচার পাবেন। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।