ভারতের ব্যান্ডউইথ ট্রানজিটের প্রস্তাব, বাংলাদেশের ‘না’
বাংলাদেশকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের প্রস্তাব দেয় ভারত। এ প্রস্তাব 'না' করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, 'আওয়ামী সরকারের আমলে দেশের দুই ইন্টারন্যাশনাল টেলিস্ট্রেরিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) কোম্পানি সামিট কমিউনিকেশনস ও ফাইবার এট হোম এবং ভারতের টেলিকম অপারেটর ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে মিলে এই উদ্যোগ নিয়েছিল। অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তন না হলে এতদিনে হয়তো ট্রানজিটের অনুমোদন পেয়ে যেত ভারত।'
এ বিষয়ে বিটিআরসি বলছে, 'এ ট্রানজিটের কারণে আঞ্চলিক হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দূর্বল হবে এবং ভারত এখানে শক্তিশালী হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়া গুগল, আকামাই, অ্যামাজন, মেটার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর এজড পপ ভারতের কলকাতা, মুম্বাই ও চেন্নাইয়ে হওয়ায় আইপিএলসি ট্রানজিটের মাধ্যমে ভারতের টেলিকম অপারেটরগুলো সেভেন সিস্টার্সে সহজে ও গতিময় ইন্টারনেট দিতে পারবে। এতে এসব প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশে এজড পপ ও ডেটা সেন্টার করে সেভেন সিস্টার্স, চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মিয়ানমারে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি-ইন্টারনেট সেবা দেয়ার সম্ভাবনাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবে।
বিটিআরসি আরও জানিয়েছে, 'আইটিসিগুলো এখন দেশের ৬০ শতাংশ ব্যান্ডউইথের চাহিদা পূরণ করে আর বিএসসিপিএলসি করে ৪০ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির ৭ হাজার ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের সক্ষমতা থাকলেও তারা মাত্র ২ হাজার ৩০০ জিবিপিএস কাজে লাগাতে পেরেছে। এখন এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ট্রানজিটের এই অনুমোদন দেয়া হলে বিএসসিপিএলসির বিপুল এই ব্যান্ডউইথ কাজে লাগানো ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।'
উল্লেখ্য, সামিট ও ফাইবার অ্যাট হোম আখাউড়া হয়ে আগরতলাকে কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় বাংলাদেশের সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত সেবা সম্প্রসারিত করবে। আর সীমান্তের টিসিএলএস থেকে ভারতী এয়ারটেল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেবে।