৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৩২

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল রেকর্ড সংখ্যক টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা  © টিডিসি ফটো

কিশোরগঞ্জে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা। যা গণনার পর পরিমাণে দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকায়। এছাড়াও স্বর্ণ, রূপা এবং বেশ কিছু বৈদেশিক মুদ্রা ডলার, পাউন্ড ও রিয়ালও পাওয়া গেছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় গণনা শেষে দানের টাকার এমন হিসাব প্রকাশ করা হয়। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন-কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ আরও অনেকেই।  

টাকা গণনা কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. এরশাদ মিয়া, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রওশন কবীর, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যাংকের ৭৫ জন স্টাফ, পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্স মাদরাসার ১৩৩ জন ও ঐতিহ্যবাহী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার ১৫০ জন ছাত্র। তাছাড়াও মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্যও দানের টাকা গণনায় অংশ নেয়।

সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়ে থাকে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পরবর্তী দেশের অস্বাভাবিক অবস্থার জন্য এবার তিন মাস ১৪ দিন পর মসজিদটির দানবাক্স খোলা হয়েছে। যাতে সর্বমোট ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গেছে যা
গতবারের চেয়ে বেশি।

এর আগে, সর্বশেষ এবছরের আগস্টের ১৭ তারিখে মসজিদের দান বাক্স খুলা হয়। তখন দানের টাকা মিলেছিল ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। সাথে বেশ কিছু স্বর্ণালংকারও পাওয়া গিয়েছিল। 

উল্লেখ্য মসজিদের দান থেকে পাওয়া এই বিপুল অর্থ মসজিদসহ জেলার অন্যান্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানিয়েছেন, মসজিদের খোলা জায়গায় নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়, তাই সেখানে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া পাশের কিছু জায়গা ক্রয় করে সেখানে একটি বিশাল মসজিদ কমপ্লেক্স  নির্মাণের প্রস্তাবও রয়েছে।