৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:৩৭

চিন্ময় ইস্যুতে আনন্দবাজারের সংবাদ, উল্টো বিবৃতি দিল ইসকন

‘চিন্ময়কৃষ্ণের সঙ্গে দূরত্ব নয়, তাকে সমর্থন করে ইসকন, রাত পেরোতেই নতুন বার্তা বাংলাদেশের সংগঠনের’ শিরোনামে আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সংবাদে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সমর্থনে ‘ইসকন বাংলাদেশ’ বিবৃতি দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

যদিও ইসকন বাংলাদেশ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থনে কোনো বিবৃতি তারা দেয়নি।

আনন্দবাজার ওই প্রতিবেদনে দাবি করেছে, শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ইসকনের তরফে নতুন বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণকে তারা সমর্থন করে। তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি।  বিবৃতির বরাত দিয়ে শুক্রবার সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে আনন্দবাজার অনলাইনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চিন্ময় কৃষ্ণের অধিকার, বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং তাদের ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষার জন্য তার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ইসকন। তার থেকে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি।

আমরা শুধু একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, তিনি ইসকনের সদস্য নন। বাংলাদেশের ইসকনের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন না। গত কয়েক মাসে এই কথা একাধিক বার আমরা বলেছি।’ শুক্রবার ইসকন বাংলাদেশ চিন্ময় কৃষ্ণের সমর্থনে বিবৃতি দেওয়ার বিষয়টি মিথ্য দাবি করে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ইসকনসংক্রান্ত একটি বিবৃতি লক্ষ করেছি, যা নিয়ে দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভিন্নভাবে নিউজ প্রকাশিত হচ্ছে। আমরা ইসকন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে জানাচ্ছি যে, এ ধরনের কোনো বিবৃতি ইসকন বাংলাদেশ প্রদান করেনি। ইসকন বাংলাদেশ সর্বদা দেশের আইন, শৃঙ্খলা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের কোনো বিবৃতি বা কার্যক্রম কখনোই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলার পরিপন্থী নয়।’

অনভিপ্রেত বিবৃতির ভিত্তিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছে ইসকন। যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রচার বা শেয়ার করতে গণমাধ্যমকে আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে অনেক আগেই ইসকন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে জানিয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, গত ৩ অক্টোবর অফিসিয়াল বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয় যে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (চন্দন কুমার ধর) ইসকন বাংলাদেশের মুখপাত্র নন। তাই তার বক্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। অতঃএব তার কৃতকর্মের জন্য ইসকন বাংলাদেশ কোনোভাবেই দায়বদ্ধ নয়।