৪ মাসেও জাতীয় জাদুঘরে ‘জুলাই কর্নার’ কেন হয়নি—প্রশ্ন ইনকিলাব মঞ্চের
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চার মাসেও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কেন ‘জুলাই কর্নার’ রাখা হয়নি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছে ইনকিলাব মঞ্চ। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত বিভিন্ন স্থানে জুলাই বিপ্লবের স্লোগান মুছে দেয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপী গ্রাফিতি ও স্লোগান পুনর্লিখন কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে ৪ মাসেও জুলাই কর্নার কেন রাখা হয়নি অন্তর্ভতী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে এখন পর্যন্ত জুলাই কর্নার নামে কোনও কর্নার রাখা হয়নি। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার আছে। যেখানে শুধু একজন ব্যক্তির বন্দনা করা হয়। আমরা দাবি জানাচ্ছি দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং সরকারি বেসরকারি যে সকল প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ কর্নার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭, ১৯৭১, এবং ২০২৪-এর আজাদির এই তিনটি পর্বের সকল তথ্য সেই বাংলাদেশ কর্নারে থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের শহীদি স্মৃতি বানাতে হবে। সধারণ ছাত্র জনতা যাত্রাবাড়ি মোড়ে শহীদের নাম দিয়ে একটি স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করতে গিয়ে প্রশাসনে বাধার সম্মুখীন হন। ইনকিলাব মঞ্চ চেষ্টা করেছিল ফার্মগেট এবং শাহবাগে শহীদের স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করতে সিটি কর্পোরেশন এবং নানান আইনি জটিলতা সেটি করতে পারেননি।
বর্তমান সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, শহীদি সপ্তাহে জাগ্রত জুলাই নামে স্মৃতি স্থম্ভ নির্মাণ করতে হবে। স্মৃতি স্তম্ভে সকল শহীদদের নাম উল্লেখ থাকতে হবে। এটি এমন ভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন ঢাকা থেকে শুরু করে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় রাষ্ট্রেীয় খরচে একটি করে জাগ্রত জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে। যদি আগামী এক সপ্তাহে মধ্যে সরকার রাজধানীর শাহবাগে জাগ্রত জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ না করে তাহলে ইনকিলাব মঞ্চ ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে শাহবাগ মোড়ে জাগ্রত জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করবে।