২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:০৪

বঙ্গবন্ধু কর্নারের নাম পরিবর্তনের দাবি ইনকিলাব মঞ্চের

বঙ্গবন্ধু কর্নার  © সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মাণ করেছিল বঙ্গবন্ধু কর্নার। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা বইপত্র ও অন্যান্য তথ্যাবলি রাখা হতো শিক্ষার্থীদের পড়ার জন্য। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মিত বঙ্গবন্ধু কর্নারের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আয়োজিত বিভিন্ন স্থানে জুলাই বিপ্লবের স্লোগান মুছে দেয়ার প্রতিবাদে দেশব্যাপী গ্রাফিতি ও স্লোগান পুনর্লিখন কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়।

এই চার মাসেও জাতীয় যাদুঘরে জুলাই কর্নার কেন করা হয়নি এমন প্রশ্ন রেখে ইনকিলাব মঞ্চের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নারের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ কর্নার নাম রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭, ১৯৭১, এবং ২০২৪-এর আজাদির এই তিনটি পর্বের সকল তথ্য সেই বাংলাদেশ কর্নারে থাকতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের শহীদি স্মৃতি বানাতে হবে। সধারণ ছাত্র জনতা যাত্রাবাড়ি মোড়ে শহীদের নাম দিয়ে একটি স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করতে গিয়ে প্রশাসনে বাধার সম্মুখীন হন। ইনকিলাব মঞ্চ চেষ্টা করেছিল ফার্মগেট এবং শাহবাগে শহীদের স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করতে সিটি কর্পোরেশন এবং নানান আইনি জটিলতা সেটি করতে পারেননি।

বর্তমান সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, শহীদি সপ্তাহে জাগ্রত জুলাই নামে স্মৃতি স্থম্ভ নির্মাণ করতে হবে। স্মৃতি স্তম্ভে সকল শহীদদের নাম উল্লেখ থাকতে হবে। এটি এমন ভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন ঢাকা থেকে শুরু করে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় রাষ্ট্রেীয় খরচে একটি করে জাগ্রত জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করতে হবে। যদি আগামী এক সপ্তাহে মধ্যে সরকার রাজধানীর শাহবাগে জাগ্রত জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ না করে তাহলে ইনকিলাব মঞ্চ ছাত্র জনতাকে সাথে নিয়ে শাহবাগ মোড়ে জাগ্রত জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করবে।