গণমাধ্যম থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী সহায়তা পাচ্ছি না: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণমাধ্যম থেকে চাওয়া অনুযায়ী সহায়তা পাচ্ছি না। ফ্যাসিস্টের দোসররা করবে না তা ঠিক। কিন্তু গতকালকের ঘটনায়ই গণমাধ্যম সঠিক খবর দেয়নি। অনেকে বলে দিল ৫-৭ জন মারা গেছে, তা তো সঠিক নয়। তার আগের দিন বলা হলো, ২২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আসলে তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকতা নিয়ে মানুষের মনে একধরনের ধোঁয়াশা বিদ্যমান। এক সময় মানুষ টিভি দেখা বন্ধ করে দিয়েছিল, কারণ আগেই জানত কী বলা হবে। গণমাধ্যমের ওপর মানুষের বিশ্বাস অনেকটাই কমে গিয়েছিল। নানামুখী প্রতিবন্ধকতা তৈরী করা হয়েছিল। আর্থিক সুবিধাও নিতো অনেকে। বিগত সরকারের সাথে যেভাবে দোসর হিসেবে কাজ করত, তা আসলে ঠিক হয়নি। আওয়ামী লীগের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সিআরআইয়ের হয়ে তারা কাজ করত।
নাহিদ ইসলাম এ সময় বলেন, আন্দোলনের সময় অনেক ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে, সেজন্য দুঃখিত।
আরও পড়ুন: জবির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে উপদেষ্টা নাহিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার
বিভিন্ন মিডিয়ায় এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, তাদের বিষয় ওই হাউসগুলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেউ তখন কিছু করতে বাধ্য হলে, এখন ভুল স্বীকার করুক। কিন্তু ৫ আগষ্টের পর এই দিকের লোক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে তা হবে না।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয় একটা স্বাধীনতা দিতে চায়, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নিষেধ থাকবে না। কিন্তু সাংবাদিকরা কীভাবে গণমাধ্যমকে দেখতে চায় তাও গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন সবার সাথে কথা বলে প্রতিবেদন দেবে। তারপর মন্ত্রণালয় আবার সবার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে। সবাইকে নিয়েই সরকার একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে বাস্তবায়ন করতে চায়।
গণমাধ্যমের কাছে গঠনমূলক সমালোচনা প্রত্যাশা করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, বিটিভিও কিন্তু সরকারের সমালোচনা করছে।
শুধু ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দিয়ে সবকিছু উড়িয়ে দিতে চান না জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে। ক্ষোভ থেকে আন্দোলন হতে পারে। তবে আইন শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের পর্যায়ে গেলে সেটি দেখা হবে। আমরা চাই না আগের আমলের মতো পুলিশ জনতার বুকে গুলি চালাক। তবে বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবশ্যই কঠোর হবে, সেভাবে পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন করা হচ্ছে।’