থমথমে প্রথম আলো, আটক ৪
রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টার ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়। পরে, পরিস্থিতি বিবেচনায় দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, ডিবি সদস্য এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়, যার ফলে পুরো এলাকা থমথমে পরিবেশে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের জিয়াফত অনুষ্ঠান গরু জবেহ কর্মসূচি সফলভাবে শেষ করে তারা কারওয়ান বাজার ছাড়বেন। রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে আন্দোলনের নেতা মীর ফরহাদ এই ঘোষণা দেন।
এ ঘটনার পরপরই রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. সাজ্জাত আলী ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরে প্রথম আলো কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ একাধিকবার ধাওয়া দেয়। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। রাত পৌনে ৮টার দিকে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে থেকে তিন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে শাহরিয়ার জামান নিজেকে খেলাফত আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব হিসেবে পরিচয় দেন।
এদিন দুপুরে কাওরান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে ‘ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে গরু জবেহ’ কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। তারা সেখানে একটি গরু জবাই করে রান্নার আয়োজন করেন। সন্ধ্যায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর, জবাই করা গরুর মাংস ও রান্নার সরঞ্জাম অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা জানান, রান্না শেষে খাবার প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে আনা হবে।
এই ঘটনার পর পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।