আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভেঙে আশ্রিতদের উচ্ছেদের ঘটনায় মামলা  

ঘর ভাঙচুর
ঘর ভাঙচুর  © টিডিসি ফটো

ভোলার চরফ্যাশনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙচুর করে আশ্রিত ২০ পরিবারকে উচ্ছেদের ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে টনক নড়ে প্রশাসনের। গত ১৯ নভেম্বর রাতে সহকারী পৌর ভূমি কর্মকর্তা সঞ্জিব দে বাদী হয়ে যুবদল ও ছাত্র দলের ৫ নেতাকর্মীদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর)  সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হাছনাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত আসামীরা হলেন, পৌর যুবদল নেতা মো. রাসেল, মো. রাশেদ, মো. মমিন, শ্রমিক দল নেতা শাহ আলম ও মো. সুমন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সনে পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ডে ১৮ ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে সেমি পাকা টিন সেট ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। আশ্রিত পরিবারগুলো ৮ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্থানীয় প্রভাবশালী যুবদল রাসেল , রাশেদ, মমিন, শ্রমিকদল নেতা শাহ আলমসহ ওই জমিতে তাদের মালিকানাদাবী করে আশ্রিতদের উচ্ছেদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। 

গত রোববার (১৭ নভেম্বর) ওই যুবদল ও শ্রমিকদল নেতারা আশ্রিত পরিবারের বসত ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে তাদের উচ্ছেদ করে সরকারি টিউবয়েল ও আশ্রিতদের ঘরের টিন ও সকল প্রকার মালামাল লুট করে নেয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথি ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে মামলা দায়ের করেন।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসানা শারমিন মিথি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদের শিকার আশ্রিতদেরকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হাছনাত জানান, সরকারি খাস জমিতে নিলীমা আদর্শ গ্রাম নামে ভূমিহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করে তাদেরকে জমিসহ ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়।গত রোববার আদর্শগ্রামের পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা যুবদল নেতা রাশেদ, রাসেল ও মমিনের নেতৃত্বে আশ্রিতদের উচ্ছেদ করে দেন। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে উচ্ছেদের শিকার আশ্রিতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, মামলা দায়েরের খবর পেয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি।তবে তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ