বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবদল নেতার মৃত্যু
বিএনপির দু’পক্ষের সংঘর্ষে মো. তৈয়ব (৩৫) নামের আহত এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। ভোলার লালমোহনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. তৈয়বের মৃত্যু হয়।
বদরপুর ইউনিয়ন (উত্তর) বিএনপির সভাপতি শহিদুল্লাহ মেলকার জানান, গত ১৮ নভেম্বর সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দেবীরচর বাজারে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল সুইচ এবং বিএনপি নেতা সিরাজ হাওলাদারের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাজারে মহড়া দেয়। এসময় আমাদের বেশ কয়েকজন লোককে ধাওয়া করে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এর মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় শাওন, লোকমান ও তৈয়বকে ঢাকা নেওয়া হয়।
এর আগে, উপজেলার দেবীরচর এলাকায় সাবেক ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কামাল সুইচ ও বিএনপি নেতা সিরাজ হাওলাদার এবং ইউনিয়ন (উত্তর) বিএনপির সভাপতি শহিদুল্লাহ মেলকারের লোকজনের মধ্যকার সংঘর্ষে আহত হন মো. তৈয়ব। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত তৈয়ব উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন (উত্তর) যুবদলের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং একই এলাকার মাকসুদ উল্লাহর ছেলে।
শহিদুল্লাহ মেলকার আরও জানান, বদরপুর ইউনিয়ন (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ চেয়ারম্যানের ইন্ধনে কামাল সুইচ এবং সিরাজ হাওলাদারের ক্যাডার হারুন মেলকার ও তার ছেলে মনির মেলকার, তৈয়বকে উপর্যুপরি কোপায়। নিহত তৈয়বের সাথে হারুন মেলকার ও তার ছেলে মনিরের পূর্ববিরোধ ছিলো।
নিহত তৈয়বের মা চানবরু বেগম বলেন, তার ছেলে তৈয়বকে পূর্ব শত্রুতার জেরে হারুন মেলকার ও ছেলে মনির মেলকার কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো দুষ্কৃতকারী তৈয়ব খুনের সাথে জড়িত থাকলে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া উচিৎ। লালমোহন থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম জানান, তৈয়ব নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং মামলার প্রধান আসামি কামাল সুইচসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে উপজেলার দেবীরচর বাজারের ইজারা ও দখল নিতে স্থানীয় বিএনপি’র সভাপতি শহিদুল্লা মেলকার ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল সুইচ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার শুরু হয়। গত তিনমাসে অন্তত তিনবার সংঘর্ষে দুই গ্রুপের প্রায় ২৫ জন আহত হয়। সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মারা যায় মো. তৈয়ব।