২০ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৪১

সফলতায় শীর্ষে ড. ইউনূস-আসিফ-নাহিদরা, কম শিক্ষা-স্বাস্থ্য ও খাদ্য উপদেষ্টারা

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্যরা। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে।  © পিআইডি

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনের কাজের নাগরিক মূল্যায়ন করেছে ‘স্পিক বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন। এরই অংশ হিসেবে সরকারের সফল এবং কম সফল উপদেষ্টার র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। বুধবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই র‌্যাঙ্কিং সবার সামনে তুলে ধরা হয়। 

সরকারের কার্যক্রম নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে নাগরিক মূল্যায়নের মাধ্যমের এ র‌্যাঙ্কিং করেছে সংগঠনটি। এতে শীর্ষ সফল পাঁচ উপদেষ্টা হলেন– প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ; সড়ক, রেল ও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান; ক্রীড়া, যুব ও শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ; তথ্য, সম্প্রচার, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

আর র‌্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে কম সফল পাঁচ উপদেষ্টা হলেন– খাদ্য উপদেষ্টা আলি ইমাম মজুমদার, বেসামরিক বিমান পরিবহন, পর্যটন উপদেষ্টা এ.এফ. হাসান আরিফ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত

সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পটভূমি ও প্রত্যাশা তুলে ধরেন বক্তারা। তারা সরকারের কিছু ব্যর্থতা তুলে ধরে বলেন, অল্পসংখ্যক ফ্যাসিস্ট নেতাকে আটক করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের সহায়তাকারী অধিকাংশ আমলা, পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনও উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নতুন সরকার কোনো ‘প্রভিশনাল কনস্টিটিউশন’ অথবা ‘প্রোক্ল্যামেশন অব নিউ রিপাবলিক’ ঘোষণা করতে পারেনি। ফলে একটি সাংবিধানিক সংকটের শঙ্কা রয়ে গেছে। 

তারা বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ গঠনের কোনো উদ্যোগ এখনও আমরা লক্ষ্য করিনি। পাচার হওয়া জাতীয় সম্পদের কোনো অংশই এখনও দেশে ফেরত আসেনি। গণহত্যার বিচার ও শহীদ-আহতদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অতি ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে প্রধান করে আরও ১০-১৫ জন উপদেষ্টা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: সমন্বয়ক নাহিদ

এছাড়া সরকারের সফলতা হিসেবে তারা ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন, এখন পর্যন্ত কোনো ব্যাংক নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা না করা, দেশের রেমিট্যান্স আয় অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক বাড়ানো, সরকারি প্রকল্পে নতুন করে কোনো দুর্নীতি না হওয়া, বিচার বিভাগে ব্যাপক পরিবর্তনসহ সারাদেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার নতুন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া, রিজার্ভে হাত না দিয়েই দুই বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের কথা উল্লেখ করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির প্রধান মুখপাত্র মুহাম্মদ সজল, বিশেষ মুখপাত্র ডেল এইচ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাহিল মাহমুদ রক্তিম, ওয়ায়দুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাওনী ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।