নির্বাচনে সাপোর্ট দেওয়া সাংবাদিকদের ‘দেখা হবে’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ১৬ বছরে যে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি হলো, তাদের পেছনেও কাজ করেছেন কিছু সাংবাদিক। কারা করেছেন; কীভাবে করেছেন, সেগুলো দেখতে হবে। যারা ২০১৪ ও ২৪-এর নির্বাচনে ভয়াবহভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, তাদের দেখা হবে। আর জুলাই-আগস্টে অনেক সাংবাদিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের আমি স্যালুট জানাই।
বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘জুলাই গণহত্যায় গণমাধ্যমের ভূমিকা: জবাবদিহি ও সংস্কার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বলা হতো ওরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী। তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া যাবে না। এসব গণমাধ্যমে প্রচার করা হতো। আবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস কনফারেন্সে কী ধরনের ফ্যাসিবাদি বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। কার কী ভূমিকা ছিল, সেগুলো খুঁজে বের করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই- আগস্ট আন্দোলনে কিছু গণমাধ্যম ছাত্র-জনতাকে সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দিয়েছিল। জুলাই-আগস্ট ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে অনেক সাংবাদিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের আমি স্যালুট জানাই। কিন্তু ১৬ বছরে যে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি হলো, তাদের পেছনেও কাজ করেছেন কতিপয় সাংবাদিক। কারা করেছেন; কীভাবে করেছেন, সেগুলো দেখতে হবে। যারা ২০১৪ ও ২০২৪-এর নির্বাচনে ভয়াবহভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, তাদের দেখা হবে।
আমাদের মধ্যে যেন ফ্যাসিবাদী আচরণ তৈরি না হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওরা যেভাবে শিবির ট্যাগ দিয়ে ক্রিটিসাইজ করত, আমরাও যেন সেটি না করি। যেভাবে ওরা মুক্ত সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে, আমরা যেন সেটি না করি।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণমাধ্যম চাই’ ছাত্র-জনতার নতুন বাংলাদেশ গড়া তত দিন সম্ভব হবে না, যত দিন দেশের গণমাধ্যমগুলো ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী দোসরমুক্ত না হবে। আমরা গণতন্ত্রপরায়ণ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি, এ বাংলাদেশ থেকে শক্ত হাতে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে হবে।
মূলত ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতার যুদ্ধের বিপক্ষে ছিল, তারাও যেমন রাজাকার, ২৪-এর এই গণহত্যার সময় যারা ছাত্র-জনতার বিপক্ষে ছিল, তারাও রাজাকার। এসব রাজাকারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।