তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ট্রেনে ঢিল, রক্তাক্ত শিশুসহ অনেকে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ PM , আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে আন্দোলন করছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে মহাখালী রেলক্রসিং অবরোধ করেন তারা। এতে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছোড়া ঢিলে ট্রেনে থাকা শিশুসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা মহাখালীতে সড়ক অবরোধ করেন। মহাখালী ওভারব্রিজের নিচে অবস্থান নেওয়ার কারণে সড়কের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় রেল চলাচলও। পরে ধীরগতিতে একটি ট্রেন এলে তা আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভরত কয়েকজন ট্রেনটিতে ঢিল ছুড়লে শিশুসহ কয়েকজন আহত হন। প্রাথমিকভাবে শিশু ও অন্যান্য আহত ব্যক্তিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশে রেল যোগাযোগ যেমন বন্ধ রয়েছে। তেমনি মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে মহাখালী, বনানী ও জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। ফলে ট্রেনের যাত্রী থেকে শুরু করে বাসের শত শত যাত্রীও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের বিশৃঙ্খল আন্দোলনের কারণে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় ঘটতে পারত। এতে শত শত শিক্ষার্থীসহ অনেক সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের বিধিনিষেধ না মেনে রেললাইনের ওপর হঠাৎ দাঁড়িয়ে যান এবং আন্দোলন করতে থাকেন। এ সময় রেললাইন দিয়ে আসা দুই আন্তঃনগর ট্রেন তড়িঘড়ি করে থামাতে বাধ্য হন চালকরা। চালকরা যদি সতর্কতার সঙ্গে ট্রেন না থামাতেন তাহলে মহাখালীতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
এ বিষয়ে বনানীর থানার ওসি মো. রাসেল বলেন, মহাখালী রেলক্রসিংয়ের ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা রেল ক্রসিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে আন্দোলন করছেন। তারা ট্রেন থামিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছেন। এ ছাড়া তাদের আন্দোলনের কারণে মহাখালী, বনানী ও জাহাঙ্গীর গেট এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। সেদিন সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলীতে গিয়ে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে মহাখালী, বনানী, গুলশান এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।