তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের ইট-পাটকেলে রক্তাক্ত ট্রেনযাত্রী, আহত অনেক
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে শিক্ষার্থীরা সড়ক ও রেলপথ অবরোধ রেখেছেন। শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচি থেকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ‘উপকূল এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-শিশুসহ বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। যাত্রীদের রক্তাক্ত হওয়ার একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ট্রেনের ১৬টি বগির সবচেয়ে বেশি হামলার শিকার হয় ‘খ’ নম্বর বগিটি।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১২টার দিকে ট্রেনে হামলা ও ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে। নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র হামলা ও ভাঙচুরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
হামলার ঘটনার বেশকিছু ছবি–ভিডিও ছড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রেনটি মহাখালী রেলক্রিসিংয়ে আসার পর আন্দোলনকারীদের ভেতর থেকে একদল শিক্ষার্থী ট্রেনকে লক্ষ্য করে ‘মার, মার’ ধ্বনি দিয়ে পাথর নিক্ষেপ শুরু করেন। এতে ট্রেনের কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের ভেতর থেকে কিছু শিক্ষার্থী এসে তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের আবারও সড়ক অবরোধ
এর আগে এদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে দেড় থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের করেন। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান নেয়।
হামলার বিষয়ে তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনে আসা জামিল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের কলেজকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হোক। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এ আন্দোলন বন্ধ করব না।’
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তাদেরকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংলাপ করতে দেখা যায়। কমলাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, তারা হামলার ঘটনা শুনেছেন। তাদের একটি দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। সেদিন সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাখালীর আমতলীতে গিয়ে অবস্থান নেন তাঁরা। এতে মহাখালী, বনানী, গুলশান এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।