জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙালি মুসলমানের রেঁনেসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে: মাহমুদুর রহমান
দৈনিক আমাদের দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, এদেশে মুসলমানদের রেঁনেসা কখনো হয়নি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙালি মুসলমানের রেঁনেসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রেনেসাঁ হতে গেলে, আমাদের সবকিছুতে পারদর্শী হতে হবে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে জাস্টিস ফর জুলাই আয়োজিত শাহবাগ ও ফ্যাসিবাদ এবং নয়া বাংলাদেশের গতিপথ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে ভুটানের একটা ফ্রেন্ডশিপ চুক্তি আছে যার মাধ্যমে তারা ভুটানের সাতগে হেজিমনিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে তারা ফ্রেন্ডশিপ চুক্তি না করলেও একটা উপনিবেশে পরিণত করেছিল। আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ভারতীয় হেজিমনি পরাজিত করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।
জুলাই বিপ্লব সফল করতে হলে, বাঙালি মুসলমান আইডেনটিটিকে ধারণ করতে হবে। বাঙালি মুসলমানের আলাদা কালচার, ঐতিহ্য আছে।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকেই ভারত পাকিস্তানকে বিভক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো। এদেশের মুসলমানদের ক্ষমতাকে কমিয়ে দেওয়ার এক মঞ্চায়ন করেছিলো গণজাগরণ মঞ্চের নামে।
তিনি বলেন, সরকার দ্রুত দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে আশা করি। আমাদের লড়াই চলমান রাখতে হবে। দৈনিক আমার দেশ বাঙালি মুসলমানের আইডেনটিটি তুলে ধরার একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার পর পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র সাহায্যের আড়ালে আমাদের প্রভু সাজার মানসিকতা ও আধিপত্যবাদ বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে আমাদের কাছে এসেছে। চব্বিশের ছাত্রজনতা অভ্যুত্থানে আজ অনেককেই মাস্টারমাইন্ড হতে দেখি। চব্বিশের প্রেক্ষাপট কারা তৈরি করেছে? একসময় দেখতাম সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে, একমাত্র মাহমুদুর রহমান ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। এই অভ্যুত্থানের অন্যতম কারিগর মাহমুদুর রহমান।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান চেয়ারম্যান মো. মেসবাহ-উল-আজম সওদাগর বলেন, শাহবাগের দুইটা ডাইমেনশন আছে এর মাধ্যমে আইনের শাসনকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বিচারের নামে অবিচারের সংস্কৃতি শাহবাগের মাধ্যমে হয়েছে। বাঙালি মুসলমানের মধ্যে হিন্দুত্ববাদ ঢুকে দেয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় শাহবাগে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল্লাহ বলেন, ২০০৬ এ ক্ষমতায় আসার জন্য একটি দল অরাজকতা তৈরি করে ক্ষমতায়া আসার জন্য। ওই দল ভারত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসত। তাদের কুচিন্তা বাস্তবায়ন করতে তৈরি হয় শাহবাগ।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড তাজাম্মুল হক, সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমদসহ অন্যান্যরা। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও জাস্টিস ফর জুলাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।