কারাগারে বদলে গেছেন ব্যারিস্টার সুমন, পড়ছেন নিয়মিত নামাজ
সাবেক সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন বর্তমানে কারাগারে আছেন এবং সেখানে তিনি সম্পূর্ণ নতুন জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়েছেন, নিয়মিত নামাজ আদায় করেছেন। আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) ব্যারিস্টার সুমনের চেম্বার পার্টনার এম লিটন আহমেদ গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় এসব কথা জানান।
এর আগে তিনি ১৫ নভেম্বর কারাগারে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার দৈনন্দিন রুটিনের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তিনি আরও জানান ব্যারিস্টার সুমনের কারাগারের জীবন বেশ শৃঙ্খলাবদ্ধ। তিনি ফজরের আজানের আগেই ঘুম থেকে ওঠেন এবং এখন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। সাবেক সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি জেলে বিশেষ সুবিধা বা "ডিভিশন" পেয়েছেন।
তবে মোবাইল ফোনের অভাবে তিনি বেশ সমস্যায় আছেন, কারণ আগে তিনি সার্বক্ষণিক নিজের অনলাইন অ্যাকাউন্টগুলিতে সক্রিয় ছিলেন।
লিটন আহমেদ আরও জানান, কারাগারে ব্যারিস্টার সুমনের সাথে এক ঘরে থাকছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এবং একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে।
তার সাথে আলাপকালে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারের কঠিন জীবনের কথা উল্লেখ করেছেন। সন্ধ্যার সময় কারাগারের সেলে ঢুকে পড়া এবং খাবার খেয়ে নিতে বাধ্য হওয়াটা তার জন্য বেশ কষ্টকর বলে তিনি উল্লেখ করেন। দিনের বেশির ভাগ সময় তিনি হাঁটাহাঁটি করেন, তবে অন্য কয়েদিদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা মাঝে মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ফলে সেলের বাইরে হাঁটতে কিছুটা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
উল্লেখ্য ২৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মিরপুরে যুবদল নেতা হৃদয় মিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ অনুসারে, ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মিরপুরে হৃদয় মিয়া গুলিবিদ্ধ হন এবং এই মামলায় ব্যারিস্টার সুমন ৩ নম্বর আসামি হিসেবে এজাহারে উল্লেখিত রয়েছেন।
ব্যারিস্টার সুমনের কারাগারের জীবন এবং তার অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের খবরটি অনেকের নজর কেড়েছে, বিশেষ করে তার সহকর্মী এবং সমর্থকদের মধ্যে।