‘কোথায় যাবেন বেগম’—ঢাকায় রিকশা চালালেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ স্ত্রীকে রিকশায় বসিয়ে প্যাডেল টানছেন। স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেন, রিকশায় চড়ে কোথায় যাবেন বেগম? শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে ফেসবুকে এমন এক ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি।
মুহূর্তেই ভিডিওটি দৃষ্টি কেড়েছে নেটিজেনদের। গত বছরের শেষ দিকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে জায়গা করে নেয় ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্র। ঢাকার রিকশা যে কোনো বিদেশি পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় বিষয়।
হোটেল লে মেরেডিয়ানের লবিতে ঢাকা শহরের দৃশ্যপটকে চিহ্নিত করতে রাখা রিকশা দেখে তর সইতে পারেননি পাকিস্তান হাইকমিশনার। শেষ পর্যন্ত চালিয়ে দেখেছেনও। শুধু তাই নয়, রিকশা চালকদের প্রতি এই কঠিন কাজের জন্য শ্রদ্ধাও জানিয়েছেন তিনি।
ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘বলো কোথায় যাবে, বেগম? লে মেরেডিয়ানের ১৪তম তলায় রিকশা টানলাম। জীবিকা অর্জনের জন্য প্রায় সমস্ত আবহাওয়ায় সারাদিন ধরে টানাটানি করা সত্যিই খুব কঠিন। রিকশাচালকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। স্যালুট।’
পাক হাইকমিশনারের এই রিকশা চালানো মূলত প্রতীকী। এর মাধ্যমে এখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করে আরো ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রচেষ্টা। গত কয়েকদিনে ঢাকার কূটনৈতিকপাড়ার বড় খবর, প্রথমবারের মতো দুই দেশের মধ্যে নৌপথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ। এতে নাকি উদ্বেগ তৈরি হয়েছে নয়াদিল্লিতে। বলা যায়, এ উদ্যোগের নেপথ্যের বড় কারিগর পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ।
গত ৫ আগস্টের পর ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কে নতুন মেরুকরণে রূপ দিতে তার কূটনৈতিক ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো। যার ফলাফল মাত্র তিন মাসের মাথায় দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগ। শেখ হাসিনার আমলে পাকিস্তান বরাবরই নৈকট্য পেতে বহু চেষ্টা করেছে। কিন্তু ইসলামাবাদের অভিযোগ, পাকিস্তান সংক্রান্ত বিষয়ে দিল্লির পরামর্শ নিতেন হাসিনা। আর এ কারণে সব ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এরপরও এখানকার সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন।