নাহিদকে নিয়ে অপপ্রচার, পাশে দাঁড়ালেন সালমান মুক্তাদির ও আরজে কিবরিয়া
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। এনআইবি মহাপরিচালক পদে নিয়োগপত্রে তার সুপারিশসহ সই করা ছবিকে কেন্দ্র করে এ সমালোচনা চলছে। তবে বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন নাহিদ। তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আন্দোলনকে কেন্দ্র করেও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানেও তাকে নিয়ে অপপ্রচার চলছে। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা আন্দোলন শুরুর পর থেকে এমন স্লোগান দিচ্ছেন, নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে নয়।
বিষয়টি নিয়ে যখন নাহিদকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন কিছু ব্যক্তি, তখন তার পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে ফেসবুক। নাহিদ ইসলামের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন তারা।
নাহিদকে সমর্থন করে সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ নাহিদের ওপর নির্যাতনের দুটি স্থিরচিত্র তুলে ধরে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘১৬ বছরে বাংলাদেশের অবস্থা এমনই। যারা হাসিনার পুনর্বাসন প্রকল্পকে সমর্থন করে তারা দেশকে একই পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনবে: রক্তপাত, গুম, খুন এবং অনেক কিছু। হাসিনার পুনর্বাসনকে সমর্থন করলে শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ পরিণতি ঘটবে।’
পোস্টটি শেয়ার দিয়ে সালমান মুক্তাদির লিখেছেন, ‘এই যে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারছো, অভিযোগ করতে পারছো, প্রোফাইল থেকে সব শেয়ার করতে পারছো! প্রশ্ন করতে পারছো। এটা ভুলে যেও না। কোনো দিন পার নাই। এই প্রথম পারছো ভুলে যেও না।’
আরো পড়ুন: মধ্যরাতেও পঙ্গু হাসপাতালের সামনে আন্দোলনকারীরা, যা বললেন হাসনাত
‘অভিযোগ কর, কেন করবে না। কিন্তু তুমি বিপ্লবকে কোনো দিন ইগনোর করতে পারবে না। অস্বীকার করতে পারবে না। সত্যি বলতে আমি নাহিদকে চিনিও না। কিন্তু খুব ভালো করে জানি আমি অথবা আমরা কয়েক শ মানুষ এখনও বেঁচে আছি ওদের ত্যাগের জন্য। তাদের ছাড়া আমাদের অর্ধেকও থাকত না। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।’
জনপ্রিয় আরজে ও উপস্থাপক গোলাম কিবরিয়া সরকার ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগে ফেসবুকে লিখেছেন, এই ছেলেরা গুলির মুখে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিল বলে এত সাহস নিয়ে ‘সব শালারা বাটপার’ বলতে পারেন। যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন কমেন্ট সেকশনে। নাহিদরাই আমদের হিরো। জঞ্জালে ভরা এই দেশ সহজে বদলাবে না জেনেও নিজের জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে। হিসাব নিকাশের সময় আসেনি। এদের কাজ করতে দেন।’