চার উপদেষ্টাদের সাক্ষাতের অপেক্ষায় দিন গড়িয়ে রাত, রাস্তায় থাকার সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের
দুপুরেই জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন চিকিৎসাধীন জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। সুচিকিৎসার পাশাপাশি দাবি তুলেছেন চার উপদেষ্টাকে আন্দোলনস্থলে এসে দেখা করতে হবে। তবে দিন পেরিয়ে সময় মধ্যরাতে গড়ালেও দেখা মেলেনি উপদেষ্টাদের। উপদেষ্টারা না আসায় বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সড়কে অবস্থান নিয়ে আছেন তারা।
আন্দোলনস্থলে উপদেষ্টারা না গেলেও গিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। কথা বলেছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সাথে। পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাসসহ দিয়েছেন একাধিক পরামর্শও।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতেও পঙ্গু হাসপাতালের সামনে আন্দোলনকারীরা, যা বললেন হাসনাত
হাসনাত জানান, চারজন উপদেষ্টার মধ্যে তিনজনই আছেন ঢাকার বাইরে। বাকি একজন নিয়েছেন স্বাস্থ্যখাতের নতুন দায়িত্ব। নতুন দায়িত্ব পাওয়া অধ্যাপক ড. সায়েদুর রহমান আন্দোলনকারীরা চাইলে রাতেই আসবেন অই স্থানে। তবে যদি আগামীকাল দুপুরে তারা চান তবে একসাথে চারজন উপদেষ্টার সাথে দেখা করতে পারবেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ এই হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ জানান। উপদেষ্টাদের কাছ থেকে আহত ব্যক্তিদের দাবির বিষয়ে লিখিত নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
এ সময় আহত ব্যক্তিরা উপদেষ্টাদের সাথে দেখা না হওয়ার আগ পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করার ঘোষণা দেন। বিছানার ব্যবস্থা করে শুয়ে পড়েন রাস্তায়।
আহত ব্যক্তিদের এই ক্ষোভ–বিক্ষোভের শুরু হয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের দেখতে সকালে তিনি পঙ্গু হাসপাতালে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সবার সঙ্গে দেখা করেননি—এ অভিযোগে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পথে তাঁর পথ আটকে বিক্ষোভ করেন আহত ব্যক্তিরা। পরে তাঁরা রাস্তায় নামেন।