১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৫

সমাজসেবা অধিদফতরের ডিজিকে তাৎক্ষণিক সরিয়ে দিতে নির্দেশ

ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল

সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ওএসডি হওয়ার পরও দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরী ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।

৫ নভেম্বর সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালকের দফতর থেকে ওএসডি হওয়া ডিজি ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে ১৫ দিনের মধ্যে সরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক পদে তার দায়িত্ব পালনের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেন আদালত। জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
 
গত ১১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ওএসডি হয়েও পদ ছাড়ছেন না সমাজসেবা অধিদফতরের ‘ডিজি’ নামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি করা হয়। ওই আদেশের প্রায় এক মাস পরও তা অমান্য করে ডিজি পদে বহাল তবিয়তে কাজ করে যান এ কর্মকর্তা।
 
ওএসডি করা সমাজসেবার ডিজি ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল অফিস করার কথাও স্বীকার করেন। ওএসডি হওয়ার পর কীভাবে কাজ করছেন—জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আমার অফিস করার মৌখিক নির্দেশ আছে। ওই নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি।

মৌখিক নির্দেশ কতটা যৌক্তিক— এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ হলেও দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয় থেকে আমার অবমুক্তি না হওয়া পর্যন্ত অফিস করতে পারি। তা ছাড়া এখানে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।

সমাজসেবা ডিজির ওএসডির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তার নতুন পদায়ন করা পদ হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রথম গ্রেডের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। জারি করা ওই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। অর্থাৎ যেদিন আদেশ জারি করা হয়েছে, ওই তারিখ থেকে কার্যকর।

অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপতির আদেশে করা প্রজ্ঞাপনের নির্দেশ মানছেন না ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।