১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১

বেঁচে আছি ওদের জন্য—‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে সালমান

‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন সালমান

আমি নাহিদকে চিনিও না, জানিও না। কিন্তু আমি খুব ভালো করে জানি আমি অথবা আমরা কয়েকশ মানুষ আজকে বেছে আছি ওদের মত মানুষের সেক্রিফাইজের জন্য। নাহিদকে নিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া একটি পোস্ট শেয়ার করে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার সালমান মোহাম্মদ মুক্তাদির।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘এই যে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারছো, অভিযোগ করতে পারছো, নিজের প্রোফাইল থেকে সব শেয়ার করতে পারছো, প্রশ্ন করতে পারছো। এইটা ভুলে যাইয়ো না। লাইফে কোনও দিন পারো নাই। এই প্রথম পারছো, ভুলে যেও না’

আরও পড়ুন: ফেসবুকজুড়ে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ

সালমান লেখেন, ‘অভিযোগ করো, অবশ্যই করবা। কেন করবা না। কিন্তু তুমি এই রেভ্যুলুশনকে কোনও দিন ইগনোর করতে পারবানা। অস্বীকার করতে পারবা না। ইন অল অনেস্টি। আমি নাহিদকে চিনিও না, জানিও না। কিন্তু আমি খুব ভালো করে জানি আমি অথবা আমরা কয়েকশ মানুষ আজকে বেঁচে আছি ওদের মত মানুষের সেক্রিফাইজের জন্য। উইথ আউট দেম, হাফ অব আস উড হেব বিন ভ্যানিশড বাই নাউ। এইটাও অস্বীকার করার কোনও স্কোপ নাই।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামকে নিয়ে বেশ কিছু ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে কে বা কারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এর পাল্টা জবাব হিসেবে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে গেছে ফেসবুক। লাল ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর #WeAreNahid লিখে নাহিদ ইসলামের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীসহ অনেকেই।

সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক পদের নিয়োগপত্রে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সুপারিশসহ সই করা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।  নাহিদ ইসলাম এ বিষয়টিকে অসত্য এবং বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ১৫ অক্টোবরের নিয়োগ ২২ অক্টোবরই বাতিল করা হয়েছিল। সুপারিশকৃত গোপন নথির ছবি যারা পেয়ে যায় তাদের কাছে বাতিলকৃত প্রকাশ্য নোটিশটি অজানা থাকার কথা না। তারপরও যেকোনো মূল্যে অসত্য প্রচার করে বিতর্কিত করাটা এই সময়ের রাজনীতি।

তিনি আরও লিখেছেন, মূলত আওয়ামী বিরোধী ও আন্দোলনের পক্ষের একটি গ্রুপ এই ব্যক্তির সুপারিশ করেছিল। পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা উনার একাডেমিক এক্সেলেন্সি দেখে এনআইবি পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু ঐ ব্যক্তির রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড জানার পরে সঙ্গে সঙ্গেই উনার নিয়োগ বাতিল করা হয়। গত মাসের ঘটনা। বাতিল করার ঘোষণাটিও সকলে অবগত আছেন।