জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ৭ নভেম্বরের আরেক রূপ: অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন
জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন বলেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ৭ নভেম্বরের আরেক রূপ’। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক জিয়া পরিষদ কর্তৃক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ৭ নভেম্বরের চেতনারই আরেক রূপ। দুটি ক্ষেত্রেই জনগণের পক্ষের শক্তি হিসেবে ছিল বিএনপি এবং ফ্যাসিস্ট শক্তি হিসেবে জনগণের বিপক্ষে ছিল আওয়ামী লীগ। এটা কোন কাকতালীয় ঘটনা নয়। স্বাধীনতার পর থেকে ঐতিহাসিকভাবেই আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের বিপক্ষে।
তিনি আরও বলেন স্বাধীন বাংলাদেশে তিনটি দিন ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এবং বাংলাদেশকে একটি বৈষম্যহীন,গণতান্ত্রিক সার্বভৌম এবং আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র গঠনের ধারায় ফিরিয়ে এনেছে। দিবস তিনটি হলো ৭ নভেম্বর ১৯৭৫, ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ও ৫ আগস্ট ২০২৪। ৭ নভেম্বর ত্রাতার ভূমিকায় ছিলেন জিয়াউর রহমান, ৬ ডিসেম্বর ছিলেন অপসনহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ২০২৪ এ ভূমিকায় ছিলেন দেশ নায়ক তারেক রহমান, দেশের সকল ক্রান্তিকালে জিয়া পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ৫ই আগস্ট এর গণঅভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তার দোসররা কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহ ব্যাংকিং সেক্টরে এখনো বহাল তবিয়তে আছে। যার কারণে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংক জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম. মাহবুবুর রহমান বলেন, ৭ ই নভেম্বরে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান কে মুক্ত করার মাধ্যমে দেশ প্রেমিক সিপাহী-জনতা আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ও স্বনির্ভর অর্থনীতির শুভ সূচনা শুরু করে কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংকিং খাতে নজিরবিহীন লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহিল মাসুদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, শহিদুল হকসহ বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বিডিবিএল ও বেসরকারি ব্যাংক ইউনিটের জিয়া পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শফিউল আযম ফাহিম, যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ ব্যাংক জিয়া পরিষদ।