‘গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণমাধ্যমের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই এবং গণমাধ্যমকে স্বাধীনতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাহসী ভূমিকা নিতে হবে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এই সভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষ পত্রিকাগুলোর সম্পাদকবৃন্দ। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যের অবাধ প্রবাহের ওপর গুরুত্বারোপ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সঠিক তথ্যের অভাবে গুজব ও অপতথ্য মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ ধরনের অপতথ্য রোধে গণমাধ্যমকেই এগিয়ে আসতে হবে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে, যাতে তা জনস্মৃতিতে থাকে।’
গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।’
সভার এক পর্যায়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে অনেক সাংবাদিক সত্য প্রকাশে ভয় পেয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সেই সব তথ্য প্রচারে উদ্বুদ্ধ করেন যা জনগণের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও, গণমাধ্যম সংস্কারের লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে, যার প্রতিবেদন অনুযায়ী সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকগণ জানান, স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য সরকার হস্তক্ষেপ না করায় গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সম্পাদকদের পক্ষ থেকে ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও জানানো হয়।
এই মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, কালের কণ্ঠের সম্পাদক হাসান হাফিজ, ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মর্তুজাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক ও প্রতিনিধি।