চাং-ডং পারলে আমি হয়তো পারব: ফারুকী
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সারোয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘আমার প্রিয় চলচ্চিত্রকার লি চাং-ডংও মন্ত্রী ছিলেন। আমি ভাবলাম, যদি তিনি মন্ত্রিত্বে থাকার পরও স্বাধীন চিন্তা চালিয়ে যেতে পারেন তাহলে আমি হয়তো পারব।’
তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার খ্যাতিমান পরিচালক লি চাং-ডং-এর অভিজ্ঞতা তাকে অনুপ্রাণিত করেছে। যিনি ২০০৩-২০০৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
রোববার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান ফারুকী। এর আগে আগস্টে পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ থেকে পলায়নের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বে বসেন নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
তারই ধারাবাহিকতায় রোববার ড. ইউনূস তার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত করেন। যেখানে ফারুকীসহ অন্যরা শপথ গ্রহণ করেন।
ভ্যারাইটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফারুকী বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমি এই দায়িত্ব গ্রহণে কিছুটা সন্দিহান ছিলাম। তবে যেহেতু বাংলাদেশে একটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে,তখন আমার মন বলছিল, তাহলে চেষ্টা করি, যদি কিছু পরিবর্তন আনা যায়।’
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে সরানো হলো বঙ্গবন্ধুর ছবি
‘এ ছাড়া নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কাজ করার সুযোগও আমাকে আকৃষ্ট করেছে। তাই অবশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ বলেন তিনি।
এরপর ফারুকী চলচ্চিত্র খাতের বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থায় সংস্কৃতিমন্ত্রীর জন্য চলচ্চিত্র খাতে বড় কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়, তবে তিনি শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে কিছু প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবেন, যা তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে।’
ফারুকী তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর আশা প্রকাশ করেছেন যে তিনি তার দেশের সংস্কৃতি ও শিল্প ক্ষেত্রের উন্নয়নে কিছুটা অবদান রাখতে পারবেন।