১০ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৩০

কলকাতার ‘রিপাবলিক বাংলা’র বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

রিপাবলিক বাংলা দুজন উপস্থাপক  © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সকোরের পতনের পর থেকে ভারতীয় চ্যানেল ‘রিপাবলিক বাংলা’ বাংলাদেশ নিয়ে অনবরত মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এবার চ্যানেলটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তাদের নিউজ ও কন্টেন্ট নিষিদ্ধ ও ব্লক করতে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১০ নভেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশ পাঠান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।

একই সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইসিটি বিভাগের সচিব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘“রিপাবলিক বাংলা” একটি ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল। এই চ্যানেল স্যাটেলাইট সম্প্রচারের পাশাপাশি তাদের নিউজ, কন্টেন্টসমূহ ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে থাকে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এই যে, এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা প্রচার করে যাচ্ছে। মিথ্যা তথ্য সম্প্রচার করছে এবং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এই টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা নিরন্তনভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

আরও পড়ুন: সেনাবাহিনী ও পুলিশকে আ.লীগের অনুরোধ

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ‘রিপাবলিক বাংলা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিডিয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে। এই ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলটি বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ ছাড়া এ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলটি বাংলাদেশের জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।’

‘বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই এ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের জননিরাপত্তার স্বার্থে এ বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলের সব নিউজ, কন্টেন্ট বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নিষিদ্ধ ও ব্লক করে দিতে হবে।

নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ভারতীয় চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তাদের নিউজ ও কন্টেন্ট নিষিদ্ধ ও ব্লক করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করা হবে।