মুনতাহার মরদেহ পুকুরে ফেলার সময় প্রতিবেশী মা-মেয়ে আটক
বাড়িতে খেলা করছিল মুনতাহা। সেখান থেকে তাকে অপহরণ করে হত্যার পর মরদেহ বাড়ির পাশে খালের ভেতর কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে মরদেহ তুলে পাশের পুকুরে ফেলার সময় মা-মেয়েসহ তিনজনকে আটক করে স্থানীয় জনগণ ও পুলিশ।
রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে জনগণের সহায়তায় শিশু মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার গলায় রশি পেঁচানো ছিল। এ ঘটনায় মর্জিয়া আক্তার, তার মা আলীফজান ও আলীফজানের মা কুতুবজানকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় জনগণ মর্জিয়ার বসতঘর গুঁড়িয়ে দেন।
নিহত মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলা সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, ঘটনার দিন রোববার (৩ নভেম্বর) আমার বাড়িতে খেলা করছিল মুনতাহা। ওই দিন তাকে ধরে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘরের পাশে খালে পুঁতে রাখা হয়। আমাদের বিশ্বাস ছিল শিশুটিকে জীবিত পাবো। কিন্তু ঘরের পাশে তার মরদেহ মিলবে, তাকে হত্যা করা হবে, বিষয়টি কল্পনাও করতে পারছি না। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার ও তার মা আলীফজান মিলে তাকে হত্যা করেছেন।
এখনো কোনো কারণ স্পষ্ট নয় জানিয়ে তিনি বলেন, মুনতাহাকে অপহরণের পর ওই দিনই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ঘরের পাশের একটি খালে কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়। এরপর আলীফজান বেগম রোববার ভোরে মরদেহ সরানোর চেষ্টাকালে স্থানীয়রা দেখে ফেলেন। এ সময় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় মর্জিয়া, তার মা ও নানিকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আলীফজান ভিক্ষাবৃত্তি করতেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
ওসি বলেন, গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে মর্জিয়াকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি। এরপর রোববার ভোরে মরদেহ উদ্ধারের পর তাকে আটক দেখানো হয়।