০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:২১

৪৩ লাখ কার্ড বাতিল হয়নি, নতুনভাবে যে ব্যাখ্যা দিল টিসিবি

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)  © ফাইল ছবি

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ৪৩ লাখ পরিবার বা ফ্যামিলি কার্ড বাতিল করা সংক্রান্ত বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কার্ড বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়, আমার উপস্থাপিত বিষয়টি বুঝতে বা বোঝাতে ভুল হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে কথা বলেন হুমায়ুন কবির। সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে টিসিবি থেকে বিষয়টি নিয়ে নতুন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। 

গণমাধ্যমকে দেওয়া এই ব্যাখ্যায় টিসিবি মুখপাত্র বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ৫৭ লাখ ফ্যামিলি কার্ড প্রস্তত হয়েছে, বাকি ৪৩ লাখ কার্ড প্রস্তত করার জন্য টিসিবি চার দফা চিঠি লিখেছে দায়িত্বরত প্রশাসনকে। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশাসন কার্ডগুলো নিবন্ধন বা সংশোধন করে দিলে এই কার্ডগুলোর কাজও হয়ে যাবে। 

তিনি আরও বলেন, এই বিষয়গুলো উপস্থাপনে একটু ভুল হচ্ছে। ৪৩ লাখ কার্ড বাতিল নয় বরং সংশোজন, বিয়োজন ও পরিমার্জন করে বাকিগুলোর কাজ করা হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতে অনেকেই হয়তো জানেন না প্রশাসনের রদ বদল হয়েছে, তাদেরকে চিঠি লেখা হয়েছে যেন কার্ডগুলোর দ্রুত ব্যবস্থা করা হয়।   

সকালে টিসিবি মুখপাত্র সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “হাতে লেখা ১ কোটি পরিবারের কার্ডের তথ্য জাতিয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে যাচাই করেছে টিসিবি। সেখানে দেখা গিয়েছে একই ব্যক্তি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা থেকে কার্ড সংগ্রহ করেছে। ফলে ৪৩ লাখ কার্ডে বিভিন্ন সমস্যা থাকায় কার্ড গুলো বাদ পড়ে গিয়েছে। পরে যেসকল অঞ্চলের জন্য যতটুকু জায়গা বরাদ্দ আছে সেগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। জেলা প্রসাশন ও সিটি কর্পোরেশনের নির্দিষ্ট কর্মকর্তারা যদি তথ্য দেখে বাকি থাকা কোটা অনুযায়ী তালিকা সংযুক্ত করে দেয় তাহলে স্মার্টকার্ড করার প্রক্রিয়া দ্রুত করা সম্ভব হবে।”

সাংবাদিকদের করা আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “১ কোটি পরিবারের মধ্যে ৫৭ লাখ পরিবারের কার্ড হয়েছে। ৪৩ লাখ এখনো সম্পাদন করা যায়নি যেগুলোর জায়গা আমরা চাচ্ছি পূরন হয়ে যাক। আমাদের পূর্বের হাতের লেখা ১ কোটি কার্ড দিয়েই এখনো কার্যক্রম চলমান। নতুন ফ্যামিলি কার্ড জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে চালু করা হবে।”