০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩২

‘দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ মিলেছে’- বলেছিলেন ড. ইউনূস

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের সার্টিফিকেট নিয়ে আশিক চৌধুরী  © সংগৃহীত

দেশের মানুষের সেবা করতে সিঙ্গাপুরের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে দেশে ফিরেছেন আশিক চৌধুরী। বিশ্বের বহু দেশ ঘুরে বেড়ানো আশিক উড়ন্ত বিমান থেকে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে করেছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। ছেড়েছেন বহুজাতিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘এইচএসবিসি’র চাকরিও। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার একটি ফোন কলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশের মানুষের জন্য কাজ করার। যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে।

বুধবার (০৬ নভেম্বর) আশিক চৌধুরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।

সরকারি চাকরিতে তাঁর কাজের এক মাস পূরণ হয়েছে বলে তিনি লেখেন, সেপ্টেম্বর এর মাঝামাঝি এক দুপুরে প্রফেসর ইউনুস হঠাৎ ফোন করে বললেন, “আশিক, দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়া গেছে। আসবা নাকি?” আমি নন্দিনীকে জিজ্ঞেস না করেই রাজি হয়ে গেলাম। জানতাম ও কোনোদিন মানা করবে না। তাই ৫৯ সেকেন্ডের এক হোয়াটসঅ্যাপ কলে আমরা সিঙ্গাপুরের বিলাসী জীবন ছেড়ে ছুঁড়ে দেশের পথে রওনা দিলাম বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে, বন্ধুদের ভাষায় বাংলাদেশের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে। 

আরও পড়ুন: ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার আশিক হলেন বিডার চেয়ারম্যান

আমরা জনগণের সরকার। তাই প্রত্যাশা অনেক। অনেকটা জাতীয় ক্রিকেট দলের মত। সবাই চায় আমরা জিতি। কিন্তু পরের বলটা একটু খারাপ হলেই সবাই হা হা করে উঠে। টিম সিলেকশন, বোলার সিলেকশন, ফিল্ড সেটিং, এইসব নিয়ে নানা সমালোচনা। ম্যাচে সবাই ভালো বল করবেনা এটাই স্বাভাবিক। তা নিয়ে দলের সমর্থকরা গালাগালি করবে তাও স্বাভাবিক। দলটাতো আমাদের। 

আশিক লেখেন, গত এক মাস শুক্র-শনিবারসহ দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করেও কূল পাচ্ছি না। প্রায় আড়াইশো সিইও, ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে বুঝার চেষ্টা করছি তাদের সমস্যাগুলো কোথায় আর কি করে তার সমাধান করতে পারি। নতুন ইনভেস্টমেন্ট কীভাবে আনতে পারি। চেষ্টা চলছে। ফেইল করা যাবে না। আমরা জনগণের সরকার। তাই প্রত্যাশা অনেক। অনেকটা জাতীয় ক্রিকেট দলের মত। সবাই চায় আমরা জিতি। কিন্তু পরের বলটা একটু খারাপ হলেই সবাই হা হা করে উঠে। টিম সিলেকশন, বোলার সিলেকশন, ফিল্ড সেটিং, এইসব নিয়ে নানা সমালোচনা। ম্যাচে সবাই ভালো বল করবেনা এটাই স্বাভাবিক। তা নিয়ে দলের সমর্থকরা গালাগালি করবে তাও স্বাভাবিক। দলটাতো আমাদের। 

আরও পড়ুন: লাল-সবুজের পতাকা হাতে ৪১ হাজার ফুট উঁচু থেকে লাফ দিলেন আশিক

তিনি আরও লেখেন, কয়দিন আগেও এইসব করা কবিরা গুনাহ ছিল। তাই দিনশেষে টায়ার্ড হয়ে ফেসবুক খুলে যখন মনে হয় আমার বউ ও বিরোধী দল, তখন নিজেকে বুঝাই: এটাই তো আসলে বাক স্বাধীনতা। হোক না সমালোচনা। আমরা ভুল করব। তারপর শুধরাবো। আমাদের দেশটা আস্তে আস্তে ঠিক রাস্তায় হাঁটবে। 

সরকারি কাজে যুক্ত থাকার এই পর্যায়ে তাঁর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এর সার্টিফিকেটটা হাতে এসে পৌঁছেছে বলে জানান তিনি। তবে এখন তিনি মনে করছেন ‘ঐটা অন্য কোনো জীবনের গল্প’।