ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলকসহ ৯ দাবি জোবায়েরপন্থিদের
সব স্তরে শিক্ষাব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও মাওলানা সাদকে দেশে আসতে নিষেধাজ্ঞাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে তাবলিগ জামাতের মাওলানা জোবায়ের হাসানের অনুসারী শীর্ষস্থানীয় আলেম ও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের নেতারা।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে এসব দাবি উপস্থাপন করেন শায়খুল হাদিস পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক।
জোবায়েরপন্থিদের দাবি, মাওলানা সাদের অনুসারীরা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সহিংসতা করার ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে আলেম-ওলামারা তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতেও প্রস্তুত আছে।
তাদের ৯টি দাবি হলো- কওমি শিক্ষাকে দারুল ওলুম দেওবন্দের আওতায় পরিচালনা করতে হবে। এবং তাবলিগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে; সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে; আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িত আসামিদের দেশে এনে শাস্তি নিশ্চিত এবং সারা দেশে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে; ২০১৮ সালে টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থিদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে; সাদপন্থীরা নবী করিম সা. সহ সাহাবীদের সমালোচনা করে আসছে। সাদ তাবলিগের নীতিমালা উপেক্ষা করে আসছে। তাই দারুল উলুম দেওবন্দ সাদ সাহেবকে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই আসতে দেওয়া হবে না; আলেমপন্থিদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকারঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে। এর মধ্যে আগামী বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২৭ থেকে ২৯ জানুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি। এ বিষয়ে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি; কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের কোনো কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। কাকরাইল আজ থেকে কেবলমাত্র শুরায়ি নেজামে পরিচালিত হবে; অভিশপ্ত কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ‘দাওয়াত ও তবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দীনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ এ মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।