আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম দেন জিয়াউর রহমান: শামসুজ্জামান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ PM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ PM
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে সব রাজনৈতিক দল, সংবাদপত্র ব্যান করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। জিয়াউর রহমান সব রাজনৈতিক দল, এমন কী তার রাজনৈতিক দলটাও (আওয়ামী লীগ) প্রকাশ্যে এনেছিলেন। আওয়ামী লীগের পুনর্জন্ম দেন জিয়াউর রহমান। আওয়ামী লীগের প্রথম জন্মদাতা মাওলানা ভাসানী, দ্বিতীয় জন্মদাতা হলেন জিয়াউর রহমান। সোমবার (৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেক্ষাপটে আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বলেন, ‘৭ নভেম্বর নিয়ে আওয়ামী লীগ গত ২০ বছর ধরে যা প্রচার করেছে, সেটা একটা ভয়াবহ ঘটনা। সে কথা দেশবাসী গুরুত্বের সঙ্গে নেয় নাই। তাদের হৃদয়ের মধ্যে ছিল আওয়ামী লীগ। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের এমন একজন নেতা, যাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। শহীদ জিয়াকে যে মানে না সে আসলে ফ্যাসিবাদের দালাল। যারা তাকে মানে না তারা বাংলাদেশে থাকারই যোগ্য না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সব নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাকশালী আওয়ামী লীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ দেন তিনি। আওয়ামী লীগের প্রথম নেতা ভাসানী, সেকেন্ড নেতা জিয়াউর রহমান।’
তিনি বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষ দেশ স্বাধীন করলো আর সরকার গঠন করলো আওয়ামী লীগ। বাহাত্তরে তারা যে সংবিধান লেখে, তারা কি সেই সংবিধান মেনে চলেছে? চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, ব্যাংক ডাকাতি, নারী নির্বাচতন– এসব কি সংবিধানে লেখা ছিল? তারাই বাহাত্তরের সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তারাই সংবিধান লঙ্ঘন করে একদলীয় শাসন কায়েম করে। গত ৫২ বছরে আওয়ামী লীগের মতো সংবিধান লঙ্ঘনকারী দল বাংলাদেশে আর নেই। শেখ হাসিনা এতদিন আইন মানে নাই। এখন আইনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় না পেলে দেশ ছেড়ে পালাতো না।’
জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের স্যালুট জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ গঠন করার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যার যেটুকু করা উচিত, সেটুকু করলে দেশের মানুষ খুশি হবে। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত শান্তি বয়ে আনে না।’
স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও সভায় ছিলেন– চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।