০২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪১

এনটিআরসিএর ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে, নিয়োগ হবে এক লাখ শিক্ষক

এনটিআরসিএ  © সম্পাদিত

সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষক নিয়োগে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাগুলোর ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে তথ্য চেয়ে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, এ নিয়ে পরিকল্পনা হয়েছে। এটি এখন প্রক্রিয়াধীন। শিক্ষকদের তথ্য পাওয়ার পর আগামী তিন মাসের মধ্যে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।

সূত্র আরও বলছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ হতে পারে। কারণ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়েছে। আরও ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ অবসরের কারণে শূন্য হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল নিয়ে অসন্তোষ চাকরিপ্রার্থীদের

এ বিষয়ে এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন। এ নিয়ে কাজ শেষ হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে।

ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে পদসংখ্যা কি ১ লাখ কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কত পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে, এটা এখন বলতে পারছি না। তবে ধারণা করা হচ্ছে ১ লাখ। এ নিয়ে বিস্তারিত আরও পরে জানানো যাবে।

অন্য একটি সূত্র জানায়, এ মুহূর্তে শূন্য পদের সংখ্যা লক্ষাধিক। এবার বেশি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। কারণ, ইতিমধ্যে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে যোগ্য প্রার্থীর সংকট কাটবে।

সূত্র আরও জানায়, গত ৩০ অক্টোবর এনটিআরসিএ অনলাইনে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করে, যা ই-রিকুইজিশন নামে পরিচিত। এ কার্যক্রমে তথ্য দেওয়া যাবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে চাহিদা ফি জমা দেওয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো আগামী তিন বছরের (৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত) সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম (ই-রেজিস্ট্রেশন) শেষ করে এনটিআরসিএ।

আরও পড়ুন: ৭ কলেজ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে যা জানাল ঢাবি

গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি। পরে গত ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এনটিআরসিএ ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে প্রশত ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতা দেয়। এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।