৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:০৩

এইচপিভি টিকা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহবান স্বাস্থ্যের ডিজির

এইচপিভি টিকা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহবান স্বাস্থ্যের ডিজির

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু জাফর। বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এইচপিভি টিকা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, এইচপিভি টিকা পেতে ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৬১৮ জন কিশোরী নিবন্ধন করেছে। এরই মধ্যে টিকা পেয়েছে ১৮ লাখ ১৭ হাজার ৩২৬ জন। এদের মধ্যে ২৭১ জনের সাধারণ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এটা শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যা একেবারেই নগণ্য। শতকরা ৪ থেকে ৫ জন আক্রান্ত হলে তখন সেটাকে সরাসরি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। ভোলায় একটি টিকাকেন্দ্রে কিছু কিশোরী জ্ঞান হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কিশোরী অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় সঙ্গে টিকার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

ভোলার ঘটনা ব্যাখ্যা করে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, সেখানে দুজন শিক্ষার্থীকে প্রথমে টিকা দেওয়া হয়। এর পর তারা কিছুটা অসুস্থতা অনুভব করলে শুইয়ে দেওয়া হয়। এই অবস্থা দেখে সেখানকার অন্য শিক্ষার্থীরা জ্ঞান হারায়। এদের মধ্যে পাঁচজনকে টিকা দেওয়াও হয়নি। প্রাথমিকভাবে এটিকে মানসিক সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

সাধারণত টিকা দিলে জ্বর, ব্যথা এসব উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক ক্ষেত্রে এসব উপসর্গ না দেখা দিলে শরীরে টিকার কার্যকর হয়েছে কি-না সেটাও বোঝা যায় না।

ডা. আবু জাফর বলেন, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) এবার সাত বিভাগে ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ জনকে এইচপিবি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এরই মধ্যে স্কুলে ৫৮ লাখ ৬২ হাজার ৯১৮ জন শিক্ষার্থীদের দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা বলেন, অত্যন্ত নিরাপদ এইচপিভি টিকার সঙ্গে বন্ধ্যাত্বের কোনো সম্পর্ক নেই। গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটি অন ভ্যাকসিন সেফটি তথ্য বিশ্লেষণ করে এ মত দিয়েছে।