২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫৬

শিল্পকলা একাডেমির সব বিভাগ ও ভবন উন্মুক্ত করার দাবিতে মানববন্ধন

বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সামনে মানববন্ধন করেন সংস্কৃতিকর্মীরা  © টিডিসি

তরুণ বিপ্লবী সাংস্কৃতিক কর্মীদের আয়োজনে জাতীয় চিত্রশালা, জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র, জাতীয় নাট্যশালাসহ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সব বিভাগ ও ভবন পরিপূর্ণরূপে শিল্পী ও দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবিতে এবং পতিত স্বৈরাচারের দোসর ফ্যাসিস্ট সাংস্কৃতিক কর্মীদের দেশবিরোধী তৎপরতা প্রতিরোধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সামনে অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট দানবদের উৎখাত করে একটি বৈষম্যবিরোধী নতুন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে এ দেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা। এই নতুন বাংলাদেশে সংস্কৃতি চর্চা হতে হবে অবাধ, উন্মুক্ত ও বিস্তৃত। পতিত স্বৈরাচারের দোসরেরা প্রচার করে, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার চলে গেলে এ দেশে নাকি সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ হয়ে যাবে। এই ডাহা মিথ্যা কথার বিন্দুমাত্র অংশকেও আমরা সত্য হতে দিতে চাই না। তাই শিল্প- সংস্কৃতির চর্চা এদেশে আরো বহুগুনে আমরা বৃদ্ধি করতে চাই।’

তরুণ বিপ্লবী সাংস্কৃতিক কর্মী সালাউদ্দিন জামিল সৌরভ বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি কর্মমূখর দেখতে চাই। এই একাডেমিকে শিল্পী সংস্কৃতিকর্মীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে দেখতে চাই। সারা বাংলাদেশের সকল জেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং সব উপজেলা শিল্পকলা একাডেমিকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মূখর দেখতে চাই। সকল জেলা এবং উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির বরাদ্দ বৃদ্ধি করে বিস্তৃত পরিসরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।’

মানববন্ধন থেকে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করা হয়। এগুলো হলো জাতীয় চিত্রশালার সকল গ্যালারি, মিলনায়তন, প্লাজা সকল কিছু শিল্পী ও দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।  

নিয়মিত ভিত্তিতে প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। শিল্পী ও শিল্পপ্রেমীদের অবাধ বিচরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বরাদ্দ বাড়িয়ে এবং সারাদেশের শিল্পী ও শিল্পপ্রেমীদের সংযুক্ত করে বৃহৎ পরিসরে প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে।

আরও পড়ুন: শিল্পকলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক ঢাবি অধ্যাপক সৈয়দ জামিল

জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র তথা সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগকে সক্রিয় করে শিল্পী এবং দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

জাতীয় নাট্যশালাসহ মূল মিলনায়তন খুলে দেয়া হলেও এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল এখন অবধি বন্ধ। অনতি বিলম্বে জাতীয় নাটশালার এই দুটি হল, মহড়া কক্ষ এবং চিলেকোঠা নাট্যশিল্পী এবং দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। নিয়মিতভাবে নাটক ও অন্যান্য অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। 

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রবেশে কড়াকড়ি বন্ধ করে আগের মতো শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, দর্শক এবং সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষদের প্রবেশ অবাধ এবং উন্মুক্ত করতে হবে।

পতিত স্বৈরাচারের দোসর ফ্যাসিস্ট সাংস্কৃতিক কর্মীদের দেশবিরোধী তৎপরতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিকে সতর্ক থাকতে হবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

মন্ত্রণালয় এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দাবি অনুযায়ী সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ২ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।