রিট প্রত্যাহারের কারণ জানালেন হাসনাত-সারজিসদের আইনজীবী
আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। একইসাথে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়ার রিটও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এই তথ্য জানান রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। এ সময় তিনি রিট প্রত্যাহারের সম্ভাব্য কারণও বলেন। হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন দুটি করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ) ও হাসিবুল ইসলাম।
রিট প্রত্যাহারের কারণ জানাতে গিয়ে তাঁদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, দেশের সামগ্রিক কল্যাণ বিবেচনায় আওয়ামী লীগসহ ১১ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাসহ দুটি রিট প্রতাহ্যার করে থাকতে পারে পিটিশনাররা।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম রিট দুটি দায়ের করেন। এর একটিতে আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে নেওয়া হবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে রাজনীতি কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে দ্বিতীয় রিট করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়া যে ১০টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল সেগুলো হলো- দলগুলো হলো—জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম-এল) (দিলীপ বড়ুয়া), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছিল। এর আগেই তাদের দাবি পূরণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।