স্কুলে ভর্তিতে এবার বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরিবর্তন
এবারও দেশের সব বেসরকারি স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। আগামী ১২ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে লটারিতে অংশ নিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। আগামী ডিসেম্বরে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
লটারিতে শিক্ষার্থী বাছাই হলেও কোটার কারণে নানা সমস্যায় পড়েন অভিভাবকরা। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে চলমান কোটা ৬৮ শতাংশ। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ আছে ক্যাচমেন্ট অ্যারিয়ার জন্য।
এ ছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহদোর ভাই-বোন ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন: তিন বিসিএসের ভাগ্য ঝুলে আছে পিএসসি’র সদস্য নিয়োগের ওপর
তবে এবার কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নীতিমালায় কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন: এতদিন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমিক শাখা-২-এর শিক্ষা অফিসার জি. এম. মোস্তাফিজুর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিকে সাধারণত ৬ থেকে ১৩ বছরের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়। এবার ভর্তির ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা থাকছে না। তবে তাদের পুত্র-কন্যার কোটা থাকবে। যদিও এ ক্ষেত্রে এমন বয়সী সন্তান খুবই কম।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। যদি শুধু পুত্র-কন্যার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটার প্রায় পুরোটাই ফাঁকা থাকে, তাহলে মেধাতালিকা অনুযায়ী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ মিলবে।