২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৩

আজ থেকে মোহাম্মদপুরের সব হাউজিংয়ে বসছে সেনা ক্যাম্প

আজ থেকে মোহাম্মদপুরের সব হাউজিংয়ে বসছে সেনা ক্যাম্প
মোহাম্মদপুরের সব হাউজিংয়ে বসছে সেনা ক্যাম্প  © সংগৃহীত

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ডাকাতি রোধে আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে প্রতিটি হাউজিংয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প বসাবে সেনাবাহিনী। অস্থায়ী এসব ক্যাম্পগুলো থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক কাজ করবেন। 

শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে বছিলায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ২৩ ইস্ট বেঙ্গলের উপ-অধিনায়ক মেজর নাজিম আহমেদ।

তিনি জানান, মোহাম্মদপুরে ২৭ থেকে ২৮টি কিশোর গ্যাংয়ের তথ্য পেয়েছে সেনাবাহিনী। ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার (২৭ অক্টোবর) থেকে বিভিন্ন হাউজিং এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করা হবে। দুই-তিনটি হাউজিং এলাকার মধ্যে একটি করে এমন অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হবে। যেখান থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন।

মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৩ ইস্ট বেঙ্গল এক অভিযান পরিচালনা করে। বসিলা সুপারশপে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় দুজনসহ মোট ৪৫ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

আটকদের অনেকের হাতে ট্যাটু ছিল। এরমধ্যে কারও কারও হাতে ডাবল স্টার খোঁচানো ট্যাটুও দেখা গেছে। একেকটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা একেক ধরনের ট্যাটু ব্যবহার করে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

মোহাম্মদপুরে ২৭ থেকে ২৮টি কিশোর গ্যাংয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে উল্লেখ করে মেজর নাজিম আরও বলেন, এরইমধ্যে জেনেভা ক্যাম্পেই প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রয়েছে। যাদের আটক করেছি, তাদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৬ জন গডফাদার বা লিডারকে আমরা ধরেছি। এদের সবাই চাঁদাবাজি, ডাকাতি করতেন। অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ তাদের দ্বারা ভুক্তভোগী।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকায় ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি সুপার শপ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দোকানের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, ডাকাতদলের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। প্রায় একই সময়ে কাছের আরেকটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা নিয়ে যায় তারা। ওই ঘটনার পর শনিবার রাতে মোহাম্মদপুরে যৌথ অভিযানে নামে সেনাবাহিনী।