ঘেরাওয়ের হুমকি দেওয়া চার গণমাধ্যমে যা হল

প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে পুলিশ সদস্যরা
প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে পুলিশ সদস্যরা  © টিডিসি ফটো

ঘেরাওয়ের হুমকির প্রেক্ষিতে চারটি গণমাধ্যমের সামনে চার ঘণ্টা অবস্থান নিয়েছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে ঘেরাওয়ের হুমকি দেওয়া হলেও কোনও গণমাধ্যমের কার্যালয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। 

দুই দিন আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান সদ্য কারামুক্ত জসিমুদ্দীন রাহমানী শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল তিনটায় দৈনিক কালবেলা, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও দৈনিক সমকাল ঘেরাওয়ের হুমকি দেয়। এর প্রেক্ষিতে জুমার নামাজের আগেই গণমাধ্যমগুলোর সামনে অবস্থান নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ওবায়দুর রহমান জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। প্রয়োজনে আবারও পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

দৈনিক কালবেলার একজন সাংবাদিক জানান, দুপুর একটার দিকে তাদের নিউমার্কেট এলাকার কার্যালয়ের সামনে পুলিশের একটি জলকামানসহ বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আসেন। বিকাল পাঁচটার দিকে তারা চলে যান। তবে কার্যালয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

দ্য ডেইলি স্টারের একজন সাংবাদিক জানান, তাদের কার্যালয়ের সামনেও দুপুর একটার দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল। বিকাল ৫টার দিকে তারা চলে গেছেন।

প্রথম আলো ও সমকাল পত্রিকাতেও হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন গণমাধ্যম দুটির সাংবাদিকরা। তবে ঘেরাওয়ের হুমকি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের কারণে চারটি গণমাধ্যমের কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল।

সাংবাদিকরা বলছেন, সদ্য কারামুক্ত যে ব্যক্তি এই হুমকি দিয়েছেন, সেই জসিমুদ্দীন রাহমানী একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে কারাগারে বন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কারামুক্ত হয়ে গণমাধ্যমে হামলা ও ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই ব্যক্তিকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম জানান, কয়েকটি গণমাধ্যমে ঘেরাও করার হুমকি জানতে পেরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ