স্বাধীনতার ঘোষণায় সম্মত হননি শেখ মুজিব: ফারুক
বিএনপির উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক দাবি করেছেন, একাত্তরে শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করতে সম্মত হননি। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
১৯৭১ সালের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে তিনি দাবি করেন, আমরা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমরা শুনেছি তাজউদ্দিন আহমেদ সাহেব আপনার (শেখ মুজিবুর রহমান) কাছে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করুন’। তিনি তাজউদ্দিনকে বলেছিলেন, ‘আমি কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি হবো’?
জয়নুল আবদিন বলেন, এই সিন্ডিকেটের দল, মাফিয়ার দল, লুটেরার দল যাতে আবার দাদার নামে, বাবার নামে রাজনীতিতে ফেরত না আসতে পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এরা কোনোকালেও বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের লোক ছিল না। এদের ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার খায়েশ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যাতে আর কখনো রাজনীতিতে ফিরতে না পারে, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনারও দাবি জানান তিনি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, দিল্লির পার্কে ঘুরে বেড়ান বিশেষ সিকিউরিটি নিয়ে পতিত স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী। যিনি বাংলাদেশে ইলিয়াস আলীকে গুম করেছিলেন, যিনি বাংলাদেশে চৌধুরী আলমকে গুম করেছিলেন, যিনি অনেক বিরোধী নেতা-কর্মীদের গুম করেছিলেন, খুন করেছিলেন। সেই শেখ হাসিনা বিশেষ সিকিউরিটি নিয়ে দিল্লির একটি পার্কে ঘুরে বেড়ান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে সময় বেঁধে দিল ট্রাইব্যুনাল
তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার যারা গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে অহংকার করে কথা বলে, সেই দেশের রাজধানী দিল্লির একটি পার্কে ঘুরে বেড়ান তিনি। আমি আজকেই এই সভা থেকে দাবি করছি, অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে ব্যক্তিটির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, সেই শেখ হাসিনাকে অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে। আইনের আওতায় এনে তাকে সাজা দিতে হবে।
এসময় তিনি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য দায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে ব্যবস্থা নেয়ার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারেরও আবি জানান।
রাজধানীর সেনবাগ ফোরামের সভাপতি এবিএম ফারুকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সেলিমের সঞ্চালনায় এই অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. নেছারুল হক, কৃষক দলের সহসভাপতি ভিপি ইব্রাহিমসহ সেনবাগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।