২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪২

জুলাই-আগস্টে আহত-নিহতদের ক্ষতিপূরণ কেন নয়, জানতে চেয়ে রুল

হাইকোর্ট  © সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি ও পরবর্তীতে সরকার পতন আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় আহত ও নিহতদের কেন যথাযথ ক্ষতিপূরণের দেওয়া হবে না এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে কেন একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রুল জারি করেন। বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার। রিটটি পরিচালনায় তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাঈম হোসেন অয়ন, অ্যাডভোকেট খায়রুল বাশার, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন ও ব্যারিস্টার মাহদী জামান বনি।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার গত ৪ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন। জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবী রিটটি করেন। রিটকারীররা হলেন ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান বনি ও অ্যাডভোকেট খায়রুল বাশার।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, আইন সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র‍‍্যাবের মহাপরিচাল ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য যুক্তরাজ্যের আদলে একটি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ১৬ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ও সংঘর্ষে ৬৫০ প্রাণ হারিয়েছেন ও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। তবে সরকারের তথ্য অনুযায়ী, নিহত সহস্রাধিক। গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আহতদের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি।‌ এর মধ্যে চার শতাধিক মানুষ তাদের চোখ হারিয়েছেন। এর বেশির ভাগই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ মানুষ। বিবাদীদের ব্যর্থতা ও অবহেলার কারণেই এই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে।

রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের তিনজন আইনজীবীর পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়েছিল। আমরা আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করি। রিটের গুরুত্ব বিবেচনা করে আদালত ছাত্র আন্দোলনে নিহতের পরিবার ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ও ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে একটি নীতিমালা প্রণয়নে রুল জারি করেছেন।