২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩০

কৃমির ওষুধ ভেবে কীটনাশক পান শিক্ষার্থীর, ৬ ঘণ্টা পর মৃত্যু

দৌলতখান খান থানা  © সংগৃহীত

ভোলার দৌলতখানে কৃমির ওষুধ খেতে গিয়ে ভুলবশত কীটনাশক পান করে মারা গেছে এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল নয়টায় দৌলতখান উপজেলার মধ্য জয়নগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে মেয়েটি কীটনাশক পান করে।

ভোলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মো. মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মৃত আসফিয়া বেগম (১৭) ওই ওয়ার্ডের মো. হোসেন সিকদারের মেয়ে এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। হোসেন সিকদারের চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে আসফিয়া সবার বড়। সে বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

আসফিয়ার বাবা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে আসফিয়ার হঠাৎ পেটের ব্যথা শুরু হয়। এ সময় সে কৃমির ওষুধ ভেবে ভুলবশত কীটনাশক পান করে। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বেলা তিনটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসফিয়ার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: লন্ড্রিতে চলে এক সন্তানের মা রঞ্জিতার সংসার

এক প্রশ্নের জবাবে  আসফিয়ার বাবা আরও বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে কোনো ছেলের প্রেম-ভালোবাসা ছিল না এবং পরিবারের সঙ্গেও আসফিয়ার সম্পর্ক ভালো ছিল। সে আমাদের আদরের মেয়ে। ঘরে কৃমি ওষুধের বোতল ও কীটনাশকের বোতল পাশাপাশি রাখা ছিল। দুটি বোতলের রং প্রায় একই। আসফিয়া ভুলবশত কৃমির ওষুধ না খেয়ে কীটনাশক খেয়ে ফেলে। মুখের মধ্যে সে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে চিৎকার করে ওঠে। এরপর কীটনাশকের দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বহু চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারিনি। কীটনাশক পান করার ৬ ঘণ্টা পর আসফিয়ার মৃত্যু হয়।’

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে এবং এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।