ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে ইবিতে আনন্দ মিছিল
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮ এর উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির খবরে আনন্দ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে গিয়ে আনন্দ সমাবেশে রূপ নেয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা এই মুহূর্তে খবর হল, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হলো; জনে জনে খবর দে, ছাত্রলীগের খবর দে; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; হৈ হৈ রৈ রৈ, ছাত্রলীগ গেলি কই; একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা সাইজ কর; হাসিনা গেছে ভারতে, ছাত্রলীগ যাবে কবরে; একশান একশান, ডাইরেক্ট একশান; ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান; সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান; ইবিয়ানদের একশান, ডাইরেক্ট একশান ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় বক্তারা বলেন, এই ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, হলের সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। জুলাই আন্দোলনেও আমাদের ভাইবোনদের উপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে, পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগ। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছি। অবশেষে আমাদের দাবি পূরণ হয়েছে, বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিগত সরকার একটি সন্ত্রাসী কায়দায় ছাত্রলীগকে ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশকে একটি কারাগারে রূপান্তর করেছিল, পুরো বাংলাদেশকে একটি টর্চার সেলে পরিণত করেছিল, আইন করে তাদের নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে এ দেশের মানুষের জীবনের শান্তি ফিরে এসেছে। হত্যা, ধর্ষণ থেকে শুরু করে এমন কোন মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই যা ছাত্রলীগ করেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি থাকবে, নিষিদ্ধ হওয়া এই সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আপনারা আইনের আওতায় আনুন, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করুন। এছাড়াও ৭২ এর সংবিধানে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে নি উল্লেখ করে ওই সংবিধান বাতিল ও নতুন করে সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানান তিনি।