২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৪

মিডিয়ায় চেহারা দেখাতে বঙ্গভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা করবেন না: নূর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর  © সংগৃহীত

অতিউৎসাহী হয়ে মিডিয়ায় ফেস দেখাতে বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে বিশৃঙ্খলা না করতে আহ্বান জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। 

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্ট তিনি এ আহ্বান জানান। 

পোস্টে নুরুল হক নুর লেখেন, রাষ্ট্রপতিকে সরানোর প্রয়োজন হলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরানো হবে। ফেসবুক পোস্টটিতে সাড়ে পাঁচশরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।

এদিকে, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) হেফাজত আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের প্রাপ্তি রাষ্ট্রীয় ভাষণে দেশবাসীর সামনে স্বীকার করেছেন। অথচ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা অস্বীকার করে তিনি স্ববিরোধিতা এবং একই সঙ্গে শপথ ভঙ্গ করেছেন। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিশ্বস্ত এই রাষ্ট্রপতিকে জুলাই বিপ্লবের শত্রু মনে করি এবং তার দ্রুত অপসারণ দাবি করছি। জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে যারাই গাদ্দারি করবে, তারাই গণশত্রু হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।

সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, (পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি। এরপর নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা।