ঝালকাঠিতে ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’
কোনো সিনেমার গল্প কিংবা ট্রল নয়, এবার সত্যিই চালু হয়েছে ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’। ভাইরাল এই নাম শুনেই দিন দিন বাড়ছে গ্রাহকের সংখ্যা। আয়ও হচ্ছে বেশ ভালোই। হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলটির গ্রাহকরাও খাবারের মানে সন্তুষ্ট।
বর্তমানে পলাতক থাকা সাবেক ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ তার কার্যালয়ে ভাত খাওয়ানোসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে এমনিতেই বেশ আলোচিত-সমালোচিত ছিলেন। তবে ছোট্ট লুবাবা হারুন নামকে হাউন নামে উচ্চারণ করার পর দেশ-বিদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান তিনি। রাতারাতি হারুন থেকে ‘হাউন’ নামটি ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভাইরাল হাউন আঙ্কেল নামে এবার একটি ভাতের হোটেল খুলেছেন ঝালকাঠির এক তরুণ ব্যবসায়ী।
ঝালকাঠির ব্র্যাক মোড়ে অল্পদিনেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল। জেলা শহরের ব্র্যাক মোড়ের এ হোটেলে প্রতিদিনই কৌতূহলী ও ভোজনরসিকরা ছুটে আসেন পছন্দের খাবার খেতে। প্রতিদিন প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা বিক্রি হয় মফস্বল শহরের এই হোটেলে। তবে খাবার হোটের এমন নামের কারণে ক্ষোভ প্রকাশও করেন অনেকে।
এই হোটেলে খেতে আসা গ্রাহকরা বলছেন, সেবা-গ্রহীতাদের ভাত খাইয়ে ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে সমালোচিত হয়েছিলেন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক কর্মকর্তা হারুন। তার নাম ব্যাঙ্গাত্মক করে রাখা এই হোটেলে যারা খেয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে দুটি। এক. আলোচনায় আসা, দুই. ভালো খাবারো স্বাদ নেওয়া।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ভাসমান আমড়ার হাট, দেশের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিদেশে
হোটেলটিতে দুপুরের খাবার খেতে আসা একজন গ্রাহক বলেন, বর্তমানে ভাইরাল একটি নামের সঙ্গে মিলিয়েই এই হোটেলের নামকরণ হয়েছে। নামটা দেখেই এখানে অনেকেই দুপুরের ও রাতের খাবার খেতে আসে।
আরেক গ্রাহক বলেন, বর্তমানে এটি ঝালকাঠির পাশের জেলাগুলোতে নামের কারণে পরিচিতি পেয়েছে। ভোজনরসিকরা খাবার খেতে প্রতিনিয়ত এখানে চলে আসছেন। নামের পাশাপাশি এই হোটেলের খাবারের মানও ভালো। দুপুরের খাবারে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। দামও সহনীয়।
ভান্ডারিয়া থেকে খাবার খেতে আসা রকিব হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ভাইরাল একটি নামের ওপরে এই হোটেলের নামকরণ হয়েছে। নামটা দেখেই এখানে দুপুরের খাবার খেতে এলাম।’
হোটেলের স্বত্বাধিকারী ইমন চৌধুরী বলেন, ‘আমি ঠিকাদারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার একটি হার্ডওয়্যারের ব্যবসাও ছিল। দেশের পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায় আমি বড় ধরনের একটি লোকসান করে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। পরে এলাকার মুরুব্বি ও ভাইদের সঙ্গে আলোচনা করে হোটেল ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে সবার সিদ্ধান্তে হোটেলটির এই নামকরণ করা হয়েছে। নামের কারণে হোটেলে শুরু থেকেই বেচাবিক্রি অনেক ভালো। আমাদের পাশের জেলা, উপজেলাগুলো থেকেও লোকজন এখানে খেতে আসেন। নামের কারণে আমার ভালো ব্যবসা হচ্ছে।’