ডিমের দাম কমেছে ডজনে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ফার্মের ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা পর্যন্ত। চলতি সপ্তাহে সে দাম কমেছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) কারওয়ান বজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। তবে পাড়া-মহল্লায় খুচরা বাজারে ডিম এখনো ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা ডজন। বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানান কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা।
এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার শুধু দাম বেঁধে দিলেই হবে না, নির্ধারিত দরে বিক্রি হচ্ছে কি-না সেই বিষয়ে কঠোর নজরদারি থাকতে হবে।
সরবরাহ বাড়ানো ও দর নিয়ন্ত্রণে ঢাকায় ডিমের প্রধান দুই পাইকারি বাজার তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। কাপ্তান বাজারে বৃহস্পতিবার থেকে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো ডিম সরবরাহ শুরু করছে। আড়তদারেরা অভিযোগ করেন, ডিম উৎপাদনকারী বড় কোম্পানিগুলো প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিম সরবরাহ করছে না। সরকার–নির্ধারিত দরে উভয় বাজারে প্রতিদিন ১০ লাখ করে মোট ২০ লাখ ডিম দেওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ১১ লাখ ডিম সরবরাহ করা হয়েছে। এতে ডিমের দাম কমছে কিছুটা ধীরে।
আরও পড়ুন: দ্রুত দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারকে হুঁশিয়ারি হাসনাত আব্দুল্লাহর
ডিম সরবরাহ কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল। সংগঠনটি জানায়, প্রাথমিকভাবে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু হলেও সারাদেশেই এর প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান অনুযায়ী, প্রতিদিন দেশে ডিমের চাহিদা ৪ কোটি আর উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে চার কোটি। তবুও ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ হিসেবে অনেকেই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন।
এদিকে শুক্রবার রাত থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল। তিনি বলেন, ডিম কম দেওয়ার বিষয় নিয়ে আমরা করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, কিছু অসামঞ্জস্যের কারণে আড়তে কম পরিমাণে ডিম সরবরাহ করা হয়।