১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৭

উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়ছে, একাধিক রদবদলের সম্ভাবনা

আকার বাড়ছে উপদেষ্টা পরিষদের  © সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত জনতার বিজয়ের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ইতোমধ্যে দুই মাস পার করেছে ইউনূস সরকার।

এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে দরবদল হলেও এবার জানা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন মুখ যুক্ত হতে যাচ্ছেন। নতুন তিনজন উপদেষ্টার শপথগ্রহণসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ফের রদবদল হতে পারে।

একটি পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া প্রায় পাঁচটি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারে ইতোমধ্যে ২০ জন উপদেষ্টা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল করা হয়েছে। তবে সরকারের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে উপদেষ্টা পরিষদে নতুন সদস্য যুক্ত করা ও কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব রদবদলের আলোচনা চলছে।

ইতোমধ্যে উপদেষ্টা পদে একাধিক ব্যক্তিকে যাচাই করেছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। আগামী সপ্তাহে শপথের জন্য তাদের ডাক পড়তে পারে বলে ওই পত্রিকাকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

আরও পড়ুন: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

সম্ভাব্য উপদেষ্টার আলোচনায় রয়েছেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী, ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ড. মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য একজন চিকিৎসককে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সচিব, পাটকল সংস্থার চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম ওয়াসা চেয়ারম্যান, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রপতির সচিবসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।

তালিকায় নতুন মুখ হিসেবে আলোচনায় আছেন কূটনীতিক ও শিক্ষাবিদ ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। তিনি ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকারে পররাষ্ট্র এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আলোচনায় রয়েছেন ড. মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি একজন অর্থনীতিবিদ। এ ছাড়া মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একজন শিল্পপতি। নতুন করে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।