৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ
ছয় মাসের মধ্যে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিভিন্ন এজেন্সির অভিজ্ঞতালব্ধ ব্যক্তিদের দ্বারা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স দল গঠন করে তদন্ত শেষ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পূর্ণাঙ্গ আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ১১২ বারের মতো পেছানোর পর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন আগামী ১৮ নভেম্বর ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত। এদিন আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম প্রতিবেদন দাখিল করতে অপারগ হন।
এর আগে ১ অক্টোবর এ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করার অনুমতি পান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবী। ২৯ সেপ্টেম্বর সাগর-রুনি হত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ করেন মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলী রোমান।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ক্রিমিনাল মামলার বিচারের দায়িত্ব কিন্তু রাষ্ট্রের। কিন্তু আইনে আছে কোনো ভুক্তভোগী কিংবা অভিযোগকারী চাইলেও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী স্বাধীন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। এভাবে সাগর-রুনি মামলার যিনি অভিযোগকারী ছিলেন তিনি আমাকে নিযুক্ত করেছেন। আমরা নিম্ন আদালতে দরখাস্ত দায়ের করব। তদন্ত যারা করছে তাদেরই সঙ্গে বসব। যে-সব ক্লু আছে সেগুলো ধরে পরবর্তী তদন্ত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নির্মমভাবে খুন হন। দীর্ঘ ১২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আলোচিত এই হত্যা মামলায় কোনো দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি।