হজ যাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ করতে হবে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে
আগামী বছর হজ যাত্রীদের ২৩ অক্টোবরের মধ্যে প্রাথমিক নিবন্ধন শেষ করতে হবে জানিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছ ধর্ম মন্ত্রণালয়। রবিবার (১৩ অক্টোবর) হজ অনুবিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, গত ২৫ আগস্ট ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হজের প্রাথমিক নিবন্ধন চলবে।
মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হজ নিয়ে সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী মিনা ও আরাফায় তাঁবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। সাধারণত হজযাত্রীদের তাঁবু বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ নীতি অনুসরণ করা হয়। এ কারণে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধনের কাজ শেষ না হলে মিনা ও আরাফায় তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, তাঁবু ঠিক করাসহ সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে দেরি হলে হজযাত্রীদের জামারাহ থেকে অনেক দূরে পাহাড়ি এলাকা অথবা নিউ মিনা এলাকায় থাকতে হবে। তাতে প্রচণ্ড রোদ এবং গরমের মধ্যে হজযাত্রীদের দীর্ঘপথ যাতায়াত করতে হবে। তাই সৌদিতে হজে যেতে আগ্রহীদের নির্ধারিত তারিখের মধ্যে তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের সময় এগিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ‘হজের তাঁবু বুকিংসহ বেশ কিছু কাজ ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। এসব আনুষ্ঠানিকতা দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার জন্য প্রাথমিক নিবন্ধনের শেষ সময় কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আধিপত্য বিস্তারে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় চায় ভারত: রিজভী
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের সহকারী সচিব (ওমরাহ শাখা) তফিকুল ইসলাম জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে আগামী বছরের হজযাত্রার জন্য প্রাক্-নিবন্ধন শুরু হয়েছিল। ওই দিন থেকে ৩০ হাজার টাকা ফি দিয়ে প্রাক্-নিবন্ধন করার কাজ চলছে। হজে যেতে হলে প্রথম ধাপে প্রাক্-নিবন্ধন করতে হয়। সেটি সম্পন্ন করলে একটি নম্বর দেওয়া হয়। ধারাবাহিকতা রক্ষা করে সেই নম্বর হজের জন্য নির্বাচিত হলে তা এসএমএস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। কেবল নির্বাচিত হলেই নিবন্ধন সম্পন্ন করা যায়। আর নিবন্ধিত ব্যক্তিরাই কেবল হজ করার সুযোগ পান।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।