১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৪৫

কর্ণফুলী টানেল: দিনে লোকসান সাড়ে ২৬ লাখ টাকা

কর্ণফুলী টানেল  © সংগৃহীত

টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণসহ আনুষঙ্গিক কাজে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলে প্রতিদিন ব্যয় হচ্ছে গড়ে ৩৭ দশমিক ৫০ লাখ টাকা। প্রতিদিনের ব্যয়ের বিপরীতে টোল আদায় থেকে উঠে আসছে মাত্র ৩০ শতাংশ। সেই হিসাবে উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত ব্যয়ের তুলনায় টোল আদায় থেকে ৯০ কোটি টাকার বেশি লোকসান হয়েছে। আর দৈনিক লোকসান হচ্ছে ২৬ দশমিক ৫০ লাখ টাকার বেশি। 

রবিবার (১৩ অক্টোবর) দেশেরে জাতীয় দৈনিক দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের বাংলা ভার্সনে প্রকাশিত এক সংবাদ থেকে এ তথ্য জানা যায়। জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ সংযোগ হিসেবে কাজে লাগানোর জন্য নির্মিত হয়েছিল কর্ণফুলী টানেল। কিন্তু প্রত্যাশিত মাত্রায় ব্যবহার না হওয়ায় এবং চড়া রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের কারণে টানেলটি বড় লোকসান দিচ্ছে।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত কর্ণফুলী টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ৯৩৪টি গাড়ি চলাচল করেছে। এসব গাড়ি থেকে দৈনিক টোল আদায় হয়েছে গড়ে প্রায় ১০.৪০ লাখ টাকা। চালু হওয়ার প্রায় এক বছর পর বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে এই টানেল দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মূল কারণ হচ্ছে, আনোয়ারা প্রান্তে প্রত্যাশিত শিল্প উন্নয়ন এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

এ টানেল দিয়ে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি গাড়ি চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা ছিল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু বর্তমানে টানেল দিয়ে দৈনিক গড়ে প্রায় ৪ হাজার যানবাহন চলাচল করেছে। এতে তৈরি হয়েছে বড় আর্থিক সংকট। কর্তৃপক্ষের হিসাবমতে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত কর্ণফুলী টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ হাজার ৯৩৪টি গাড়ি চলাচল করেছে। এসব গাড়ি থেকে দৈনিক টোল আদায় হয়েছে গড়ে প্রায় ১০.৪০ লাখ টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০ হাজার ৬৯০ কোটি টাকায় নির্মিত টানেল প্রকল্পটি কেবল উচ্চাভিলাষীই নয়, বরং অদূরদর্শিতার প্রতিফলনও। টানেল নির্মাণের পর এটি রক্ষণাবেক্ষণ করতে গিয়ে কেমন খরচ হবে, নিয়ে কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না সংশ্লিষ্টদের। দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রভাব পুরোপুরি বিবেচনা না করেই শুধু ‘স্ট্যাটাস সিম্বলের’ জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।