১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৪

ভালো নেই জুলাই আন্দোলনের আহতরা, মুখোমুখি বক্তব্য স্বাস্থ্য উপকমিটি-রোগীদের

আন্দোলনে আহত বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীরা  © টিডিসি

জুলাই গণহত্যার পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর কৃষক-জনতা থেকে ছাত্র-শিক্ষক সকল স্তরে আশার আলো বুনতে থাকে মানুষ। দায়িত্ব নেয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের ঘোষণা দেয়। 

আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে গত ২১ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি উপকমিটিও ঘোষণা করা হয়। ১৭ সদস্যের এই আহ্বায়ক কমিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলনে সারাদেশে মোট নিহতের সংখ্যা ১৫৮১ জন এবং ৩১ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে কতজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানাতে পারেননি কমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা কিংবা সদস্য সচিব তারেকুল ইসলাম। আবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা অভিযোগ করছেন, যথাযথ চিকিৎসার প্রয়োজন থাকলেও উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। 

‘দীর্ঘ চিকিৎসার পর এখনও আমার শরীরে ১৩টি ছররা বুলেট রয়েছে। এরমধ্যে চোখের ভেতর ৩টি, মাথায় ১টি, কানের গোড়ায় ১টি, পেটে ৪টি, বাম হাতে ৩টি এবং কাঁধে ১টি। হাঁটতে গেলে মনে হয় মাথার মগজটা লাফাতে থাকে। এখানে ডাক্তাররা যেটুকু পেরেছেন চিকিৎসা করেছেন। কিন্তু বুলেটগুলো বের যায়নি। মাথার উপর হাত দিয়ে চেপে ধরে হাঁটতে হয়। এটা অসহ্য যন্ত্রণার, আপনাকে মুখে বলে বুঝাতে পারব না দ্বীন মোহাম্মদ, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ভুক্তভোগী

হতাহতদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাদের পরিবার চলছে না। ইতোমধ্যে বিগত সকল সঞ্চয় শেষ করেছেন তারা। বিষয়গুলো নিয়ে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা একাধিকবার তাদের তালিকা নিলেও বাস্তবে কোনোপ্রকার সহযোগিতা পায়নি।

আহত শরীরের দাগগুলো দেখাচ্ছিলেন আন্দোলনে আহত মোহাম্মদ ইমরান হোসেন 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, আহতরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাচ্ছেন না। পাশাপাশি আর্থিক সংকট ও মেডিসিন ক্রয়ে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। বিভিন্ন রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চিকিৎসা নিশ্চিত এবং পুনর্বাসনের জন্য স্বাস্থ্য উপ কমিটি এবং জুলাই ফাউন্ডেশন গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পায়নি। এছাড়া জুলাই ফাউন্ডেশনের তেমন কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। 

আরও পড়ুন: ‘আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি, কারণ আমার পরিবারে কেউ নেই’

অনেক রোগী ঋণ করে নিজের চিকিৎসার ভার এবং পরিবারের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করছেন। এমনই একজন কক্সবাজার সদরে গত ১৮ জুলাই পুলিশের গুলিতে আহত হওয়া দ্বীন মোহাম্মদ। পরে চিকিৎসা করাতে নিজের দুটি পালিত ছাগল বাজার মূল্যের কম দামে বিক্রি করেন। এরমধ্যে পূর্বের কিস্তি শোধ করতে না পারায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে যান মালিক। বর্তমানে তিনি সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব।

চিকিৎসা নিশ্চিত এবং পুনর্বাসনের জন্য স্বাস্থ্য উপ কমিটি এবং জুলাই ফাউন্ডেশন গঠন করা হলেও এখন পর্যন্ত রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পায়নি। এছাড়া জুলাই ফাউন্ডেশনের তেমন কোন কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

বর্তমানে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দ্বীন মোহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ চিকিৎসার পর এখনও আমার শরীরে ১৩টি ছররা বুলেট রয়েছে। এরমধ্যে চোখের ভেতর ৩টি, মাথায় ১টি, কানের গোড়ায় ১টি, পেটে ৪টি, বাম হাতে ৩টি এবং কাঁধে ১টি। হাঁটতে গেলে মনে হয় মাথার মগজটা লাফাতে থাকে। এখানে ডাক্তাররা যেটুকু পেরেছেন চিকিৎসা করেছেন। কিন্তু বুলেটগুলো বের হয়নি। মাথার উপর হাত দিয়ে চেপে ধরে হাঁটতে হয়। এটা অসহ্য যন্ত্রণার, আপনাকে মুখে বলে বুঝাতে পারব না।’

দ্বীন মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আমার চিকিৎসা যেটুকু হয়েছে এখানে ডাক্তাররা আর কোন পরামর্শ দিচ্ছেন না। কিন্তু আমার ঘর ভেঙে গেছে, কাজ করার কোন অবস্থা নেই, উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন সেটাও পাচ্ছি না। এই মুহূর্তে আমার যেই সাপোর্টটা দরকার, পরিবার চালানোর মতো সহযোগিতা কেউ দেয়নি। অনেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কোন সাড়া পাইনি।’

আরও পড়ুন: শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের করণীয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সমন্বয়কের সাথে কথা বলে জানা যায়, মূলত আন্দোলনের শুরু থেকে যারা নিবেদিত ছিলেন তাদের বিবেচনা না করে বিভিন্ন অভিযোগ থাকা সমন্বয়কদের স্বাস্থ্য উপ-কমিটিতে যুক্ত করায় সার্বিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে, হচ্ছে। আর হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য উপ-কমিটির প্রতিনিধিদের চেয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা রোগীদের বেশি খোঁজ-খবর রাখছেন; যারা স্বাস্থ-কমিটির সঙ্গে জড়িত নয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চিত্র

আয়াত উল্লাহ বেহেস্তী নামে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায় শ্যামলীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে। কথা হলে তিনি জানান, আমি ৬ তারিখ থেকে আন্দোলনে আহতদের দেখভাল করছি, এদের জন্য হসপিটাল পরিচালকদের সাথে  মেডিকেল সুচিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ যোগাযোগ করি। বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটি সাথে যোগাযোগ করে বড় অঙ্কের বিলগুলো পেমেন্টের ব্যবস্থা করি। কিন্তু আমরা কোন কমিটিতে নেই। 

রোগীদের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি জানান, এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাব রয়েছে। ‘আমার মনে হয়, বিষয়গুলো আরও কার্যকরভাবে করা যেত। কিন্তু যারা কমিটিতে আছেন তারা আসলে আন্দোলনকে কতটা ধারণ করেন, বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত। আমরা স্বেচ্ছায় কাজ করলেও আমাদের কোন পরামর্শ কোথাও নেয়া হয় না। রোগীদের সাথে কথা বললেও সেটা বুঝতে পারবেন। প্রকৃতপক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কী কাজ করছেন, হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সাথে কথা বললে সেটা আঁচ করা যায়।’

রোগীদের অভিযোগ এবং সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা বলেন, কিছু কিছু জায়গায় পর্যাপ্ত মেডিসিন না থাকার বিষয়টি আমরা অবগত। এক্ষেত্রে প্রতিটি হাসপাতালে আমরা দু’জন করে প্রতিনিধি দিয়েছি। তারা যেকোনো সমস্যা সমাধানে সমাধানের কাজ করছেন। এর বাইরে আসাদের হটলাইন নাম্বার আছে; রোগীরা চাইলে সেখানেও যেকোন অভিযোগ জানাতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে মেডিসিন না পাওয়ার ঘটনা আমরা শুনেছি, এটা নিয়ে আমরা খুব দ্রুত বসব। 

নাহিদা বুশরা যোগ করে বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ফান্ড না থাকায় কিছু মেডিসিন ঠিক সময়ে দেয়া যায়নি। এটা নিয়ে রোগীরা অভিযোগ জানাচ্ছেন, কিন্তু আমাদের সদস্য মাত্র ২১ জন। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এটা নিয়ে আমরা যাচাই-বাছাই করছি। আশা করছি দ্রুতই সব সমস্যা সমাধান হবে। 

এটা একটা কমপ্লেক্স বিষয়। তবে আমরা খুব দ্রুত সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু ফাউন্ডেশনের যাত্রা মাত্রই শুরু হয়েছে, ফলে আমাদের কর্ম পরিকল্পনা তৈরি এবং অফিস নির্ধারণের মতো কাজ গুলোতে কিছুটা সময় ব্যয় হয়েছেমীমাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ), জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক 

যদিও সদস্যসচিব তারেকুল ইসলাম বললেন, কয়েকদিন হলো স্বাস্থ্যবিষয়ক উপ-কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তবুও আমরা এখন ভলেন্টিয়ারলি কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি হাসপাতালে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং মেডিসিনের আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিয়েছি। আমরা সেখানে তেমন কোন অভিযোগ পাইনি।

নুরজাহান বেগম, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা

গুরুতর চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য উপকমিটির উদ্যোগে এখন পর্যন্ত কতজন রোগীকে বাইরে পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে তারেকুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত আমরা দুজন রোগীকে চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। তবে এনজিও কিংবা বিভিন্ন মানবিক সংস্থার উদ্যোগে বেশ কিছু রোগীকে পাঠানো হয়েছে, সে সংখ্যা আমাদের কাছে নেই। 

স্বাস্থ্য উপ-কমিটি সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও রোগীরা কেন অভিযোগ দেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে যেমন অনেক রোগী মনে করেন যে তাকে বাইরে পাঠানো হলে তিনি আরও ভালো চিকিৎসা পেতেন। কিন্তু বাস্তবতা হলে দেশের এবং বিদেশের মেডিকেল টিম তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন: ‘আমি তো সব হারিয়েছি, আর কিছুই দেওয়ার নেই’

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মীর মাহবুবুর রহমান (স্নিগ্ধ) জানান, ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কিছুটা কাজ করার চেষ্টা করা হলেও এখন পর্যন্ত সেটা বৃহৎ পরিসরে কিছু হয়নি। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি জানান, আমাদের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে সাইটে প্রকাশ করা হয়। এখন পর্যন্ত ৯২ জনকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই বৃহৎ পরিসরে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করব। ইতোমধ্যে কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি।’

ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে পরিকল্পনা জানতে চাইলে স্নিগ্ধ জানান, এটা একটা কমপ্লেক্স বিষয়। তবে আমরা খুব দ্রুত সবার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু ফাউন্ডেশনের যাত্রা মাত্রই শুরু হয়েছে, ফলে আমাদের কর্ম পরিকল্পনা তৈরি এবং অফিস নির্ধারণের মতো কাজ গুলোতে কিছুটা সময় ব্যয় হয়েছে। সকল প্রসেস মেনটেইন করে সঠিক মানুষের কাছে সহযোগিতা পৌঁছে দেয়ার মতো বিষয়গুলোতে আমরা সচেতনতার সাথে কাজ করছি। আশা করছি খুব দ্রুতই ইতিবাচক ফলাফল আসবে।

রোগীদের অভিযোগ এবং স্বাস্থ্য উপকমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে রাজধানীর সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের কয়েকজন ডাক্তারের সঙ্গে কথা হলে তারা নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করে বলেন, কার্যক্রমগুলো আরও বেগবান হতে পারত। বস্তুত কমিটিতে যাদের যুক্ত করা হয়েছে, তাদের অনেকের অভিজ্ঞতা নেই। আবার রোগীরাও দ্রুত চিকিৎসা করাতে চায়। এক্ষেত্রে কর্মপরিকল্পনা এবং সেটার বাস্তবায়ন আরও সুচারুরূপে সম্পন্ন হওয়ার প্রয়োজন ছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের মানসিক ক্ষতি ব্যাপক, সেটি কাটিয়ে তুলতে শুরুতেই ভাবা উচিত ছিল।

প্রসঙ্গত, ১৭ সদস্যের উপকমিটিতে নাহিদা বুশরা ইতিকে আহ্বায়ক এবং তারেকুল ইসলামকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আবদুল্লাহ ইবনে হানিফ আরিয়ান, মো. মাসউদুজ্জামান, মো. রাসেল মাহমুদ, মো. রিয়াজ উদ্দিন সাকিব, শাহরিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন, ডা. মো. মনিরুজ্জামান, ডা. আতাউর রহমান রাজিব, ডা. ইফফাত জাহান নাদিয়া, মাহমুদল হাসান, মো. মেহেদি হাসান, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (মেহেদী), মো. মাশরাফি সরকার, শাহরিয়ার হাসনাত তপু, মো. রামিম খান ও আবির হাসান।

আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ’র মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় দখল গণস্বাস্থ্যের মেডিক্যাল কলেজ

তবে জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের বিষয়ে কথা বলতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কোন সাড়া দেননি।