চাঁদাবাজি ও জুয়া বন্ধ করতে গিয়ে খুন হলেন ছাত্রদল কর্মী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ফারুক সরদার (২৫) নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারুক দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সোহরাব মণ্ডলপাড়ার পল্লী চিকিৎসক শহিদ সরদারের ছেলে। তিনি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে দৌলতদিয়া রেলস্টেশনের পাশের মেলায় জুয়ার আসর বসায় স্থানীয় রিপন ও তার সহযোগীরা। মেলার বিভিন্ন দোকান থেকে প্রতিদিন চাঁদাও তোলার অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। শুরু থেকেই তাদের জুয়ার আসর বসানোর ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করে আসছিলেন ফারুক।
নিহত ফারুকের ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার দিন (শনিবার) রাতে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে রিপনের মুদি দোকানে গিয়ে আবারও রিপনকে চাঁদাবাজি ও জুয়ার আসর বন্ধ করতে বলেন ফারুক। এ সময় রিপন ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফারুকের মাথা, পিঠ, দুই পা ও বাম হাতে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
ঘটনার পরেই দ্রুত ফারুককে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান মনিরুজ্জামান।
তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, মেলার জুয়া ও চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে ফারুক ও রিপনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ দ্বন্দ্বের জেরে দুদিন আগে দুগ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। শনিবার রাতে ফারুক লোকজন নিয়ে রিপনের দোকানে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে রিপন।
বিষয়টি নিয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শরীফ আল রাজীব বলেন, ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্ত রিপনসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।